গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির মামলায় প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের আবেদন সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করার পরেই এক্স পোস্টে খোঁচা দিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। তবে সরাসরি ধৃত সন্দীপের নাম নেননি সুখেন্দু। এক্স পোস্টে ‘ঘোষ’ হিসাবে উল্লেখ করেছেন সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে।
শুক্রবার তিনি লিখেছেন, ‘‘জনস্বার্থ মামলায় নাক গলানোর কোনও অধিকার অভিযুক্তের নেই। সুপ্রিম কোর্ট সিবিআই হেফাজতে থাকা ঘোষের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।’’ প্রসঙ্গত, চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলার পরে আরজি করে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। জনস্বার্থ মামলার জেরে হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় তাঁর বিরুদ্ধেও তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।
কলকাতা হাই কোর্টের সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে সন্দীপ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু শুক্রবার তাঁর আবেদন খারিজ করে দিয়েছে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ। প্রসঙ্গত, গত তিন সপ্তাহ ধরে আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে ধারাবাহিক ভাবে সমাজমাধ্যমে নানা মন্তব্য করে চলেছেন সুখেন্দু। এমনকি, ১৪ অগস্টে ‘মেয়েদের রাত দখল’ কর্মসূচিতেও যোগ দিয়েছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন, তিনি মেয়ের বাবা, নাতনির দাদু। তাই তিনি মনে করেন, এই সময়ে প্রতিবাদে শামিল হওয়াটা জরুরি। তাঁর বিভিন্ন পোস্টেও তৃণমূলের ‘অস্বস্তি’ বৃদ্ধি করেছেন সাংসদ সুখেন্দু। কখনও বাস্তিল দুর্গের পতনের কথা, কখনও আরজি করে কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন, কখনও বা ভারতীয় সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লিখিত নাগরিকদের সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকারের কথা বলেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy