Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Madan Mitra

‘মদন ছাড়া আর কাউকে ক্রীড়ামন্ত্রী মানি না!’ ‘মিত্রমশাই’কে মন্ত্রিসভায় না রাখাতেও অবাক প্রসূন

প্রসূন বলেন, ‘‘যদি পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের কেউ ক্রীড়ামন্ত্রী হয়ে থাকেন তিনি মদন মিত্র। আর কাউকে ক্রীড়ামন্ত্রী মানি না। আমি ভীষণ গর্বিত হই এই ভদ্রলোককে দেখলে। আমি ভালবাসি। উনি প্রিয় মানুষ।’’

মদন মিত্রের স্তুতি প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়।

মদন মিত্রের স্তুতি প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। — ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হাওড়া শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৬:১৬
Share: Save:

এ বার কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের হয়ে ‘দূরপাল্লার শট’ মারলেন প্রাক্তন ফুটবলার এবং তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। উস্কে দিলেন বিতর্কও। মদনের ভূয়সী প্রশংসা শোনা গেল তাঁর গলায়। হাওড়ায় একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রসূন জানালেন, মদন ছাড়া আর কাউকে তিনি রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী হিসাবে মানেনই না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় কামারহাটির বিধায়কের স্থান না হওয়াতেও তিনি ‘অবাক’ বলে জানিয়েছেন হাওড়া সদরের সাংসদ। বর্তমানে রাজ্যের ক্রীড়া দফতরের দায়িত্বে রয়েছেন অরূপ বিশ্বাস। ওই দফতরের প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে হাওড়ারই শিবপুর কেন্দ্রের বিধায়ক মনোজ তিওয়ারিকে।

শনিবার বালির পাঠকপাড়ায় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন প্রসূন। উপস্থিত ছিলেন মদনও। সেখানে প্রসূন বলেন, ‘‘যদি পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের কেউ ক্রীড়ামন্ত্রী হয়ে থাকেন তিনি মদন মিত্র। আর কাউকে আমি ক্রীড়ামন্ত্রী মানি না। আমি ভীষণ গর্বিত হই এই ভদ্রলোককে দেখলে। আমি ভালবাসি। উনি আমাদের প্রিয় মানুষ।’’ মদনের অকুণ্ঠ প্রশংসা করে প্রসূন বলেন, ‘‘মদন মিত্র এমন এক জন মানুষ যে তৃণমূল থেকে শুরু করে দেশের ইতিহাসে রয়েছে।’’ পাশাপাশি প্রসূনের সংযোজন, ‘‘উনি আলাদা লোক। প্রথম দিনের লোক। দিদির পাশে তো এক-দু’জন ঘুরতেন। এখন অনেকে ঘুরছে। বলতে বাধ্য হচ্ছি আমি। কিন্তু মদন মিত্রকে সম্মান দিতে হবে। আমি চাই, আমরা সকলে চাই। আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি যে, আমাদের মন্ত্রিসভায় ওর নাম নেই। আমি সাংসদ হয়ে বলছি।’’

অর্থাৎ, মুখ্যমন্ত্রীর বেছে নেওয়া ক্রীড়ামন্ত্রীকে নিয়ে কার্যত আপত্তি তোলাই শুধু নয়, মদনকে মন্ত্রিসভায় কোনও জায়গা না দেওয়া সম্পর্কেও নিজের উষ্মা প্রকাশ্যে আনলেন প্রসূন। মদন পরবর্তী ক্রীড়ামন্ত্রীদের সম্পর্কে নিজের ক্ষোভের কারণও প্রকাশ করেছেন তিনি। বলেছেন, “আমরা (খেলার) টিকিট পাই না। গৌতম সরকার, সুব্রত ভট্টাচার্য খেলার টিকিট পায় না। (মদন মিত্র) বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিত প্যাকেট করে। রাত দেড়টা পর্যন্তও আমার সঙ্গে কথা বলেছে।”

দলের সাংসদের এ হেন বক্তব্য কি শৃঙ্খলাভঙ্গের পর্যায়ে পড়ে? নানা সমস্যায় জর্জরিত তৃণমূলের কাছে এটা কি নতুন অস্বস্তির কারণ হল? দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘এটা কারও ব্যক্তিগত বক্তব্য। মন্ত্রিসভা কী ভাবে সাজাবেন, কী ভাবে মন্ত্রিসভা গতিশীল হবে সেটা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিষয়। আমার মনে হয়, এই ধরনের বক্তব্য প্রকাশ্যে এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। কারও ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ আর সরকার চালানোর ক্ষেত্রে বিন্যাস নিয়ে তিনি সেই সময়ে কী ভাবছেন, আমার মনে হয় সেটা মুখ্যমন্ত্রীর উপর ছেড়ে দেওয়াই ভাল।’’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আর এক তৃণমূল নেতা মনে করেন, আগামী ভোটে টিকিট পাওয়া নিশ্চিত নয় বুঝেই নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে চাইছেন প্রসূন।

অন্য বিষয়গুলি:

Madan Mitra Prasun Banerjee TMC Sports Minister
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy