প্রতীকী ছবি
ভোটের আগে মাত্র দু’টো রবিবার। তাই এ দিন মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ও শমসেরগঞ্জে সব দলই সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত নানা পাড়া ঘুরে প্রচার করল। জঙ্গিপুরের তৃণমূল প্রার্থী জাকির হোসেন সেই নিমতিতা বিস্ফোরণে আহত হওয়ার পরে এখনও চলতে পারেন না ঠিক মতো। সেই অবস্থাতেই নিরাপত্তা রক্ষীদের ঘেরাটোপে রঘুনাথগঞ্জ শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ভাগীরথী পল্লির বাড়িতে বাড়িতে গেলেন।
তবে সব থেকে বেশি চোখে পড়েছে শমসেরগঞ্জে তৃণমূলের সাংসদ খলিলুর রহমানের প্রচার। খলিলুরই জঙ্গিপুর ও শমসেরগঞ্জের ভোটে তৃণমূলের সেনাপতি। কিন্তু দীর্ঘ টালবাহানার পরে তাঁর ভাই জইদুর রহমান শমসেরগঞ্জে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে মাঠে নেমে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছেন খলিলুর। তবে এ দিন তাঁকে দেখে সে কথা বোঝা যায়নি। তৃণমূল প্রার্থী আমিরুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে তিনপাকুড়িয়ার ডিস্কো মোড় থেকে বেরিয়ে দেবীদাসপুরে শেষ হল এ দিনের প্রচার। খলিলুরের নিজের বাড়ি দেবীদাসপুরেই। প্রচারে বেরিয়ে আমিরুল যেন কিছুটা আড়ষ্ট ছিলেন। তবে যত এগিয়েছেন, মিছিল বহরে বেড়েছে ততই। উঠেছে স্লোগান। কারও হাতে হাত, কাউকে বুকে জড়িয়ে ধরে কুশল বিনিময়। ক’দিন আগেই আমিরুলের ভোটের ফেস্টুন নিয়ে কথা উঠেছিল, তাতে অনেকের ছবি থাকলেও কেন নেই জেলা সভাপতি খলিলুরের ছবি! রবিবারে দেখা গেল মোড়ে মোড়ে অজস্র ফ্লেক্স। সর্বত্রই পাশাপাশি ছবি আমিরুল ও খলিলুরের। খলিলুরের দাবি, ‘‘রেকর্ড ভোটে জিতিয়ে দিদিকে উপহার দেব শমসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর। এখন চ্যালেঞ্জটা বেশি।”
রবিবারের প্রচারে দাদাঠাকুর পল্লিতে দেখা গেল বিজেপি প্রার্থী সুজিত দাসকে। মিঞাপুরে ঘুরে তিনি যখন বাড়ির পথে, তখন ভরদুপুর। হাতে গোনা গুটি কয় লোক। সঙ্গে এক জন পুলিশ কর্মী। শনিবারে নিশীথ প্রামাণিকের জমিয়ে প্রচারের পরে রবিবারের বিজেপির চেহারা যেন একটু ম্যাড়মেড়ে।
সোমবার ২০ সেপ্টেম্বর থেকে এই দুই কেন্দ্রে প্রকাশ্য প্রচারের অনুমতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তৃণমূলের হয়ে প্রচারে আসার কথা এক ঝাঁক তারকার। শমসেরগঞ্জে অবশ্য চমক, দুই ভাইয়ের লড়াই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy