বহরমপুরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। নিজস্ব চিত্র।
বিধানসভা ভোটে ভরাডুবির পরে রাজ্য বিজেপি-র অন্দরের ফাটল নিয়ে এ বার খোঁচা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার মুর্শিদাবাদে সফরে গিয়ে আমজনতার উদ্দেশে তাঁর বক্তব্য, ‘‘সাধারণ মানুষকে বলব, যে রাজনৈতিক দল ১০টা নেতাকে এক ছাতার তলায় রাখতে পারে না, তাদের হাতে দেশের ১৩০ কোটি মানুষের ভবিষ্যৎ তুলে দেওয়া কি উচিত?’’
বিধানসভা ভোটে পরাজয়ের পরে রাজ্য বিজেপি-র অন্দরের মতবিরোধ ক্রমশ তীব্র হয়েছে। মুকুল রায় এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার রাজ্য বিজেপি-র বৈঠকে গরহাজির ছিলেন। রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারির জন্য বিজেপি-র একাংশের তরফে যে দাবি উঠেছে, রাজীব নেটমাধ্যমে তার বিরোধিতাও করেন। তাঁর রাজনৈতিক ‘লেভেল’ সম্পর্কে শুভেন্দু অধিকারীর সাম্প্রতিক মন্তব্য প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, ‘‘আমি বলব, আপনারা নিজেদের অন্তর্দ্বন্দ্ব মেটান আগে। কাকে, কী বলছেন, আপনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন।’’
এর আগে মুকুল-পুত্র তথা বিধানসভা ভোটে পরাজিত বিজেপি প্রার্থী শুভ্রাংশু নেটমাধ্যমে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফেরা তৃণমূল সরকারের সমালোচনা করা থেকে বিরত থাকার ‘পরামর্শ’ দিয়েছেন রাজ্য বিজেপি-র নেতাদের। বেসুরো আরেক পরাজিত নেতা সব্যসাচী দত্তও। আর বিজেপি-তে গিয়েও টিকিট না-পাওয়া সোনালি গুহ, দীপেন্দু বিশ্বাসরা ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে জোড়াফুল শিবিরে ফেরার আর্জি জানিয়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দুর খোঁচার জবাবে অভিষেক বুধবার রাজ্য বিজেপি-র অন্দরের মতবিরোধকেই তুলে ধরেছেন। পাশাপাশি, অভিষেকের দাবি, বিধানসভা ভোটে হারের পর বিজেপি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ভিনরাজ্যের বিজেপি নেতারা ভোটের আগে রাজ্য চষে ফেললেও ইয়াস-এর মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় তাঁদের দেখা মিলছে না বলে দাবি করেন তিনি। অভিষেক বলেন, ‘‘বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের সময় যাঁরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে কলাপাতায় ভাত খাচ্ছিলেন, খাটিয়ায় বসে ছবি তোলাচ্ছিলেন, ২ মে ভোটের ফল প্রকাশের পরে তাঁদের অনুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy