শওকত মোল্লা। — ফাইল চিত্র।
ভাঙড় থেকে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করুন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এমনটাই আবেদন জানালেন ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা। সোমবার বিধানসভার বাদল অধিবেশনের যোগ দিতে এসেছিলেন তিনি। সেখানেই তাঁকে ভাঙড়ের বর্তমান পরিস্থিতি এবং ১৪৪ ধারা জারি প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে তিনি বলেন, ‘‘আমি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাচ্ছি, ভাঙড় থেকে ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হোক। ভাঙড়ের উত্তপ্ত পরিবেশের কারণে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। আমার মনে হয়, এখন ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া উচিত। ভাঙড়ের সাধারণ, খেটে খাওয়া গরীব মানুষের অসুবিধা হোক, আমরা এটা কখনও চাই না।’’ শওকত আরও বলেন, ‘‘আমরা নিশ্চিত ভাবে জানি, মুখ্যমন্ত্রীও চান না ভাঙড়ের মানুষের কোনও রকম অসুবিধা হোক। তাই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমাদের আবেদন, ভাঙড় থেকে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করে নেওয়া হোক। ভাঙড় স্বাভাবিক ছন্দে ফিরুক। ভাঙ্গড়ের মানুষ যেন স্বাভাবিক নিয়মে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং নিজেদের কাজকর্ম করতে পারেন।’’
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের বিপুল জয়ের মধ্যেও ভাঙড়ে জয়ী হয়েছিলেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ) মনোনীত বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। এর পর ভাঙড়ের রাজনৈতিক জমি উদ্ধারের দায়িত্ব ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকতকে দেন মমতা। সেই থেকেই আইএসএফের সঙ্গে দ্বন্দ্বের সম্পর্ক চলছে শওকতের।
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় বিধানসভা। তৃণমূল এবং আইএসএ কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এখনও পর্যন্ত দুই দল মিলিয়ে মোট ছয় জন নিহত হয়েছেন। তার পরেও থেমে থাকেনি ভাঙড়ের রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা। পঞ্চায়েত ভোট পর্ব মিটে গেলে ভাঙড়ে ১৪৪ ধারা জারি করেছিল প্রশাসন। যার ফলস্বরূপ নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে ঢুকতে পারেননি বিধায়ক নওশাদ। তাই ভাঙড় থেকে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহারের যে অনুরোধ শওকত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে করেছেন, তা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন আইএসএস বিধায়ক। নওশাদের কথায়, ‘‘ভাঙড়ে আসলে অশান্তি থামাতে নয়, বিরোধী দল যাতে সেখানে প্রবেশ না করতে পারে, সেই জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সেই ১৪৪ ধারার কারণে আমি নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে ঢুকতে পারিনি। এখন তৃণমূল বিধায়ক এ সব কথা বলে ভাঙড়ের মানুষের ক্ষোভ থেকে বাঁচতে চাইছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy