প্রবীর ঘোষাল— নিজস্ব চিত্র।
দলের সংগঠনে বদল আনা হলেও তা কতটা ফলপ্রসু হয়েছে তা নিয়ে সংশয়ে উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। পাশাপাশি, তাঁর এলাকায় রাস্তা না হওয়ার অভিযোগ তুলে সরকারি কাজের পদ্ধতি নিয়েও ক্ষোভ জানালেন। শুক্রবার তিনি বলেন, ‘‘উন্নয়নে ঘাটতি থেকে গিয়েছে। সেটা মানুষের মধ্যে একটা বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। আর সেটা শুধু আমার কেন্দ্রে নয়, বিভিন্ন জায়গায়। এগুলোর সমাধান করতে না পারলে এ বার বিধানসভা ভোটের লড়াই কঠিন হবে।’’
প্রবীরের উষ্মা প্রসঙ্গে শুক্রবার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তৃণমূলের হুগলি জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব। তিনি বলেন, ‘‘প্রবীর আমাদের দলের বিধায়ক। উনি যদি কিছু যদি বলে থাকেন, তা হলে দলের মধ্যে নির্দিষ্ট ফোরাম আছে সেখানে থেকেই তার প্রতিক্রিয়া দেওয়া হবে। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত ১০ বছরে যা কাজ করেছেন, তা কেউ করেননি। এমনকি, করার কথা ভাবেনওনি। আর তার পরেও যদি কিছু কাজ বাকি রয়েছে বলে উনি মনে করেন, তবে তা দলের ফোরামে জানাতে হবে। সেখান থেকে নির্দেশ এলেই নিশ্চিত ভাবে সেটা করা হবে।’’
এর আগেও জেলায় দলের কাজ নিয়ে মুখ অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রবীর। দলের মধ্যে ‘দিলীপ বিরোধী’ হিসেবে পরিচিতি উত্তরপাড়ার বিধায়কের। ২০১৯ লোকসভা ভোটে হুগলিতে খারাপ ফলের পর তপন দাশগুপ্তকে সরিয়ে উত্তরপাড়ার চেয়ারম্যান দিলীপ যাদবকে জেলা সভাপতি করেছিল দল। এর কিছুদিন পর থেকেই সংগঠনের কাজ নিয়ে মুখ খোলেন প্রবীর ঘোষাল, বেচারাম মান্না, অপরূপা পোদ্দাররা। তাদের দলীয় কর্মসূচীতে ডাকা হয় না বলেও অভিযোগ করেন।
দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব মেটাতে শ্রীরামপুরের কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়কে চেয়ারম্যান করে মন্ত্রী-বিধায়কদের নিয়ে কোর কমিটি করে দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু তাতেও যে দ্বন্দ্ব মেটেনি, প্রবীরের শুক্রবারের মন্তব্যে তা স্পষ্ট হল বলে জেলার রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের ধারণা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy