Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Mihir Goswami

জল্পনার অবসান, দিল্লিতে গিয়ে বিজেপি-তে যোগ দিলেন মিহির গোস্বামী

শুক্রবার সকালেই কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে দিল্লিতে যান মিহির। তখনই তাঁর বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা তীব্র হয়।

বিজেপিতে যোগ দিলেন মিহির গোস্বামী। স্বাগত জানালেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। —নিজস্ব চিত্র

বিজেপিতে যোগ দিলেন মিহির গোস্বামী। স্বাগত জানালেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। —নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার ও নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২০ ১৭:৪৫
Share: Save:

তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিলেন মিহির গোস্বামী। শুক্রবার দিল্লিতে গিয়ে বিজেপি-র সদর কার্যালয়ে পদ্ম শিবিরে নাম লেখালেন কোচবিহার দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক। এ দিন তাঁর বিজেপিতে যোগদানের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন এ রাজ্যে বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ, কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক, দলের কেন্দ্রীয় মুখপাত্র আরপি সিংহ-সহ বিজেপি নেতারা।

বিজেপিতে যোগদানের পর মিহির বলেন, ‘‘৩ অক্টোবর তৃণমূলের যাবতীয় সাংগঠনিক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলাম। আজ বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। রাজ্যে যে অনাচার চলছে, দুর্নীতি, ঠিকাদারের রাজত্ব কায়েম হয়েছে, তার প্রতিবাদে আমার এই গুরুতর সিদ্ধান্ত।’’

বিজেপি-তে যোগদানের সিদ্ধান্তকে ধর্মযুদ্ধ বলে মন্তব্য করে মিহির বলেন, ‘‘স্বাধীনতার পর থেকে বিগত বাম জমানায় উত্তরবঙ্গের প্রতি যে বঞ্চনা ও ধারাবাহিকভাবে অবহেলা হয়ে এসেছে, তার প্রতিবাদে এটা আমার ধর্মযুদ্ধ বলতে পারেন। রাজনৈতিক জীবনের প্রান্তে এসে আমি আমার বাংলার নতুন ভোট দেখতে চাই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে আমরা উত্তরবঙ্গের মানুষ সুদিন পাব বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।’’

শুক্রবার সকালেই কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে দিল্লিতে যান মিহির। তখনই তাঁর বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা তীব্র হয়। আর বিকেলে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর সেই জল্পনারও অবসান ঘটল।

দীর্ঘ দিন ধরেই মিহিরকে নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা ছিল। তিনি কী করবেন, তাঁর ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পথ কী হতে পারে, তা নিয়ে নানা গুঞ্জন চলছিল। বেশ কিছু দিন ধরেই মিহির নিজের ক্ষোভ-অভিমানের কথা জানিয়ে আসছিলেন দলের অভ্যন্তরেও। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করা হচ্ছিল না বলে ক্ষোভ ছিল মিহিরের।

তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, গত ১০ বছর ধরে তিনি দলের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে কাজ করেও যোগ্য সম্মান পাননি। তাঁর আরও অভিযোগ, দলীয় নেতৃত্ব তাঁর আর্জিতে গুরুত্ব না দিয়ে বরং প্রশ্রয় দিয়ে গিয়েছেন। এই প্রেক্ষিতেই তিনি তৃণমূলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন বৃহস্পতিবার। তার পরেই শুক্রবার দিল্লি যান মিহির।

তবে কয়েক দিন আগেই মিহিরের বাড়িতে গিয়ে তাঁর মান ভাঙানোর চেষ্টা করেছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। কিন্তু তাতেও বরফ গলেনি। আর দিল্লি যাওয়ার খবর জানার পর রবীন্দ্রনাথ বলেন, ‘‘একটা দলে কাজ করতে গিয়ে রাগ-অভিমান-ক্ষোভ থাকতেই পারে। ওঁর আর একটু ধৈর্য ধরা উচিত ছিল। প্রয়োজনে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে আরও এক বার আলোচনা করতে পারতেন। এ ভাবে দল ত্যাগ করে চলে যাওয়া উচিত হয়নি।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy