Advertisement
০৮ জুলাই ২০২৪
Jiban Krishna Saha

দেড় বছর পর বিধানসভার অধিবেশনে জীবনকৃষ্ণ, নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত বিধায়ক বললেন, ‘ভীষণ খুশি’

শুক্রবার বিধানসভায় ছিল বিশেষ অধিবেশন। বিজেপির কোনও বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন না। তবে তৃণমূলের বেশির ভাগ বিধায়কই উপস্থিত হন। শুক্রবার বিধানসভায় যান জীবনও।

বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দিলেন তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা।

বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দিলেন তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। — নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪ ১৫:৫৭
Share: Save:

দেড় বছর পর শুক্রবার বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দিলেন তৃণমূলের বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। গত বছর ১৭ এপ্রিল নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআইয়ের তল্লাশি অভিযান শেষে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। দীর্ঘ ১৩ মাস জেলবন্দি থাকার পর সুপ্রিম কোর্টের রায়ে জামিন পান। জামিনে মুক্তির পর বিধানসভা ভবনে এসেছিলেন বড়ঞার বিধায়ক। তার পর এই প্রথম অধিবেশনে যোগ দিয়ে জানালেন, তিনি খুশি।

শুক্রবার বিধানসভায় ছিল বিশেষ অধিবেশন। বিজেপির কোনও বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন না। তবে তৃণমূলের বেশির ভাগ বিধায়কই উপস্থিত হন। শুক্রবার বিধানসভায় যান জীবনও। তিনি বলেন, ‘‘সত্যি খুব ভাল লাগছে। আমি ফিরে আসায় দলের বিধায়কেরাও আনন্দিত। আমিও ভীষণ খুশি।’’ নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হন তিনি।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জেল থেকে জামিন পাওয়ার পর গত মে মাসে বিধানসভা ভবনে গিয়েছিলেন জীবন। বিধানসভা ভবনে গিয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তাঁর কাছে বিধায়ক হিসাবে আবার কাজ শুরু করার আবেদন জানান জীবন। স্পিকার অনুমতি দিলে বিধানসভার দু’টি স্থায়ী কমিটির বৈঠকে যোগদান করেন তিনি। তার দু’দিন আগে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন তিনি।

২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল জীবনকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। অভিযোগ ছিল, বাড়িতে সিবিআই তল্লাশির সময় পুকুরে মোবাইল ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। সেই নিয়ে মুক্তির পর প্রশ্ন করা হলে, তিনি জানিয়েছিলেন, মন্তব্য করবেন না। জামিনের আবেদন নিয়ে বিধায়ক প্রথমে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেখানে বিধায়কের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। তার পরেই জামিন চেয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন জীবন। সুপ্রিম কোর্ট তৃণমূল বিধায়ককে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেয়। আদালত জানায়, ২৫ হাজার টাকা করে মোট ৫০ হাজার টাকার বন্ডে জামিন পাবেন জীবন। আদালতের নির্দেশ ছাড়া পশ্চিমবঙ্গের বাইরে যেতে পারবেন না। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর তাঁকে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে। আদালতে এই সংক্রান্ত মামলার প্রতিটি শুনানিতে তাঁকে উপস্থিত থাকতে হবে। এই মামলার ক্ষেত্রে কাউকে কোনও হুমকি দেওয়া যাবে না। প্রমাণ লোপাট করা যাবে না। আদালতে তাঁকে পাসপোর্ট জমা দিতে হবে। সেই শর্ত মেনেই জামিন পেয়েছিলেন জীবন। বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দিলেন শুক্রবার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Jiban Krishna Saha TMC MLA Recruitment Case
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE