Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪
Malda

দলবল নিয়ে এসে মাছ লুটের অভিযোগ তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে! মালদহে উত্তেজনা

সমবায় সমিতির অফিসে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল শাসকদলের বিধায়কের বিরুদ্ধে। মালদহের রতুয়া থানা এলাকার রাঙামাটিয়ার ঘটনা।

—নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
রতুয়া শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২৪ ২০:২০
Share: Save:

সমবায় সমিতির অফিসে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল শাসকদলের বিধায়কের বিরুদ্ধে। মালদহের রতুয়া থানা এলাকার রাঙামাটিয়ার ঘটনা। অভিযোগ, জোড়াফুলের ঝান্ডা হাতে নিয়ে সমবায় সমিতির অফিসে ভাঙচুর চালিয়েছেন রতুয়ার তৃণমূল বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, সমিতির ‘দখলে থাকা’ জলাশয় যাতে সাধারণ মানুষ এবং এলাকার মৎস্যজীবীরা ব্যবহার করতে পারেন, তারই ব্যবস্থা করতে গিয়েছিলেন তিনি। পাল্টা সমিতির বক্তব্য, ওই জলাশয় তারা বেআইনি ভাবে দখল করে রাখেনি। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে লিজ়ে পেয়েছে। বিধায়কের বিরুদ্ধে রতুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে সমিতি। গোটা ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদহের জেলাশাসক নিতিন সিংহানিয়াও। তিনি বলেন, ‘‘বেশ কিছু দিন ধরেই এই জলাশয় নিয়ে সমস্যা চলছে। সমাধানের জন্য বৃহস্পতিবার রতুয়ায় বৈঠক হয়েছিল চাঁচলের মহকুমাশাসকের নেতৃত্বে। তার পর এই ঘটনা ঘটেছে। পুরো ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য মালদহ মৎস্য দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’

মালদহের রতুয়া থানা এলাকার ওই জলাশয়টি প্রায় ৮৯ একর জায়গা জুড়ে রয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশে জলাশয়টি লিজ়ে পেয়েছে বাজিতপুর কলোনি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি। চলতি বছরের মে মাসে ভূমি দফতরের নির্দেশ মেনে সেটি সমিতির দখলেই যায়। সমিতি সূত্রে খবর, লিজ়ের মেয়াদ শেষ হবে ২০৩১ সালের মে মাসে। লিজ় বাবদ প্রতি বছর দিতে হবে প্রায় ১৬ লক্ষ ২১ হাজার টাকা। জলাশয়ের পাশে একটি অফিসও তৈরি করেছিল সমিতি। শুক্রবার দুপুরে সেই অফিসঘরটিই বিধায়ক ও তাঁর দলবল ভেঙে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। অফিসে থাকা মাছও লুট করা হয়েছে বলে দাবি। সমিতির ম্যানেজার উজ্জ্বলকুমার দাস বলেন, ‘‘উচ্চ আদালতের নির্দেশ মতো এই জলাশয় লিজ়ে পেয়েছি আমরা। সরকারি নির্দেশ মেনেই সেখানে মাছ চাষ করা হয়। বিধায়ক লোকজন এনে লুটপাট চালিয়েছেন। অফিসঘরটাও ভেঙে ফেলেছেন। তাই বিধায়কের বিরুদ্ধে আমরা রতুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করছি।’’

পাল্টা বিধায়ক সমর বলেন, ‘‘মৎস্যজীবীদের পেটে লাথি মেরে বেশ কিছু মানুষ ওই জলাশয় বিক্রি করে দিয়েছে। বাজিতপুর সোসাইটির সদস্যদের অন্ধকারে রেখে এই জলাশয় বিক্রি করে দিয়েছেন উজ্জ্বলকুমার দাস নামে এক ব্যক্তি। তাই এলাকার মৎস্যজীবী ও বাজিতপুর সোসাইটির সদস্যেরা সকলে মিলে এই জলাশয় দখল করেছেন।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy