প্রশান্ত কিশোর। —ফাইল চিত্র
লোকসভা ভোটের নিরিখে জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার জেলায় তৃণমূলের পিছিয়ে থাকা ছ’টি বিধানসভায় ভোটের ‘ক্ষতি’ পূরণ হয়েছে, দাবি পিকে-র টিমের। গত মঙ্গলবার কলকাতায় দুই জেলা নেতৃত্বদের নিয়ে বৈঠকে পিকে-র টিম এমনই দাবি করেছে বলে সূত্রের খবর।
জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার দুই জেলায় মোট ১২টি বিধানসভা রয়েছে। যার মধ্যে লোকসভা ভোটের নিরিখে ১১টিতেই এগিয়ে ছিল বিজেপি। এখনই বিধানসভা ভোট হলে এই ১১টির মধ্যে ৬টিতে তৃণমূলের জেতার বিষয়ে নিশ্চিত বলে পিকে-র টিমের দাবি। বাকি বিধানসভাগুলিতেও বাকি কয়েক মাসের মধ্যে ক্ষতি সামাল দেওয়া যাবে বলে দুই জেলার তৃণমূল নেতাদের জানিয়েছে পিকে। দিদি-কে বলো কর্মসূচির মাধ্যমেই তৃণমূল বিরোধী ক্ষোভ সামাল দেওয়া গিয়েছে বলে দাবি টিমের।
গত মঙ্গলবারের কলকাতার বৈঠকে অরূপ বিশ্বাস, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর (পিকে) নিজেও উপস্থিত ছিলেন। দুই জেলার সভাপতি থেকে শুরু করে তৃণমূল এবং যুব তৃণমূলের ব্লক নেতাদের ডাকা হয়েছিল কলকাতায়।
নেতাদের সামনেই কোন এলাকায় ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি হয়নি তা গড়গড় করে বলে দেয় পিকের টিম। এলাকার নাম ধরে ধরে বলা হয়, তাতে নেতাদের অনেকেই অস্বস্তিতে পড়ে যান। জলপাইগুড়ির পুরসভা এলাকাগুলিতে ‘দিদিকে বলো’ তেমন ভাবে হয়নি বলে তৃণমূলের রিপোর্টেও উল্লেখ রয়েছে। জেলা তৃণমূলের তরফে পিকে-র টিমকে পাল্টা প্রস্তাব দিয়ে সব কাউন্সিলরদেরও নিজের ওয়ার্ডে ‘দিদিকে বলো’ আয়োজন করার ভার দিতে প্রস্তাব করা হয়। যে ওয়ার্ডে দলের কাউন্সিলর নেই সেখানে দলের বাছাই অন্য কোনও নেতা বা কর্মীকে দায়িত্ব দিতে প্রস্তাব করা হয়।
বৈঠকে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী, যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়, শহর ব্লক তৃণমূলের আহ্বায়ক তথা পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসুরা ছিলেন। নেতারা অবশ্য কেউই পিকে-র টিমের বৈঠক নিয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি। তবে এক ব্লক সভাপতির কথায়, “পিকে-র টিম পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে ‘দিদিকে বলো’ করতেই হবে। দিদিকে অভিযোগ জানাতে পেরে অনেকের রাগ কমেছে। জনমত ফের দলের পক্ষে আসছে বলে পিকে-র টিম দাবি করেছে।”
যে ৬টি বিধানসভায় তৃণমূলের পক্ষে হাওয়া ঘুরেছে বলে পিকে-র টিম দাবি করেছে সেগুলির নাম অবশ্য বৈঠকে বলা হয়নি। যদিও জেলার এক তৃণমূল নেতার মন্তব্য, “বৈঠকের পরে পিকে-র টিমকে জিজ্ঞেস করে জেনেছি ৬টির মধ্যে ৪টি জলপাইগুড়ির এবং দুটি আলিপুরদুয়ারের।” তবে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বাপি গোস্বামীর কথা, “পিকে কেন কেউই তৃণমূল নেতাদের পরীক্ষায় পাশ করাতে পারবেন না। তৃণমূল যা দাবি করে, তত ভোট পায় না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy