অভিনেতা তথা তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক নিজস্ব চিত্র
বিধানসভা ভোটের ঠিক আগে আগে রাজনীতিতে যোগ দিয়ে বিধায়ক হয়েছেন কাঞ্চন মল্লিক। এ বার উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন কাঞ্চনের স্ত্রী পিঙ্কি চট্টোপাধ্যায়। বান্ধবী শ্রীময়ী চট্টরাজকে সঙ্গে নিয়ে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগও উঠেছে। কিন্তু এই বিতর্কে দলের বিধায়কের পাশে দাঁড়াচ্ছে না তৃণমূল। বরং, দূরত্বই রাখছে। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘এটা একেবারেই পারিবারিক বিষয়। এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। আর আমি বিষয়টা জানিও না। সুতরাং, কোনও মন্তব্য করব না।’’
কুণালের মতোই সুর তৃণমূলের হুগলি জেলা সভাপতি দিলীপ যাদবের। তিনি বলেন, ‘‘এটা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। ওঁর ব্যক্তিগত বিষয়। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।’’ দিলীপ এমন বললেও উত্তরপাড়ার বিধায়ককে নিয়ে বিতর্কে রীতিমতো অস্বস্তিতে জেলা তৃণমূল। এই আসনে কাঞ্চন প্রার্থী হওয়ার সময়েই দলে চাপা ক্ষোভ ছিল। প্রকাশ্যে সকলে কিছু মেনে নিলেও পর পর ৩ বার উত্তরপাড়ায় কেন রাজনীতির বাইরের লোকেদের বিধানসভার প্রার্থী করা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। প্রসঙ্গত, কাঞ্চনের আগে ২০১১ সালে গায়ক অনুপ ঘোষাল, ২০১৬ সালে প্রাক্তন সাংবাদিক প্রবীর ঘোষাল এই আসন থেকে প্রার্থী হন। যদিও এ বার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে গিয়ে এই আসনেই পরাজিত হন প্রাক্তন তৃণমূল প্রধান প্রবীর।
এ বার প্রার্থী ঘোষণার আগে জেলা তৃণমূলের একাংশের দাবি ছিল উত্তরপাড়া পুরসভার প্রশাসক তথা জেলা সভাপতি দিলীপকেই ওই কেন্দ্রে প্রার্থী করা হোক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দিলীপকে পাঠানো হয় পুরশুড়া আসনে। তাতেই চাপা ক্ষোভ তৈরি হয়। রবিবার কাঞ্চনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সামনে আসার পরে সেই ক্ষোভ নতুন করে প্রকাশ পেয়েছে। ওই শিবিরের এক জেলাস্তরের নেতার বক্তব্য, ‘‘উত্তরপাড়া দলের নিশ্চিত আসন। সেখানে বারবার অরাজনৈতিক ব্যক্তিরা বিধায়ক হওয়ায় সমস্যায় পড়তে হয় আমাদের। অনুপ ঘোষাল এলাকায় আসতেনই না। প্রবীর ঘোষাল মুখ পুড়িয়েছেন। এ বার কাঞ্চন মল্লিক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy