দুপুরে গঠন। রাতে তাতেই স্থগিতাদেশ।
ভোটার তালিকার ‘ভূত’ তাড়াতে বৃহস্পতিবার দুপুরে তৃণমূল ভবনে বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর পৌরোহিত্যে সেই বৈঠকেই প্রত্যেকটি জেলার জন্য পৃথক পৃথক কোর কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রাত পার হওয়ার আগেই তাতে স্থগিতাদেশ জারি হয়ে গিয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। শাসকদল সূত্রে এ-ও খবর, শুক্রবার প্রথমার্ধেই স্থগিতাদেশের বিষয়ে নির্দেশিকা পাঠানো হবে।
কৌতূহলের বিষয় হল, কী এমন ঘটল যে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কোর কমিটি গঠনে স্থগিতাদেশ জারি করতে হল? তৃণমূলের একটি সূত্রের খবর, যে কায়দায় কোর কমিটি গঠন করা হয়েছে, তা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানানো হয়নি। গোটা প্রক্রিয়া সম্পর্কে দলের সর্বময় নেত্রী ওয়াকিবহাল ছিলেন না। সে কারণেই আপাতত দুপুরের তৈরি করা কোর কমিটিতে স্থগিতাদেশ জারি করতে হয়েছে।
তৃণমূলের অন্য একটি অংশের ব্যাখ্যা, মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে লোকসভা এবং বিধানসভার অধিবেশন রয়েছে। সে কারণে কোর কমিটিতে যদি সাংসদ, বিধায়কদের রাখা হয়, তা হলে তাঁরা সে ভাবে সময় দিতে পারবেন না। অগ্রাধিকার ঠিক করে কোর কমিটি পুনর্গঠন করা হবে।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের এক প্রবীণ নেতার বক্তব্য, ‘‘এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে ভোটার তালিকা সংক্রান্ত কাজের বিষয়টিকে দল তথা দিদি কতটা গুরুত্ব দিতে চাইছেন।’’ তাঁর বক্তব্য, অনেক সাংসদ এবং বিধায়ক আছেন, যাঁদের অধিবেশনের চেয়ে সাংঠনিক এই কাজে মনোনিবেশ করা জরুরি। আবার অনেকে আছেন, যাঁদের অধিবেশনে থাকা জরুরি। সেই সূচকেই কোর কমিটির পুনর্গঠন হবে।
গত বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোরের সভা থেকে ভোটার তালিকার ‘ভূত’ ধরতে কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন মমতা। আট দিনের মাথায় সেই কমিটিই বৈঠকে বসেছিল। দুপুরের বৈঠকে বলা হয়েছিল, জেলাভিত্তিক কোর কমিটিই সংশ্লিষ্ট জেলার ভোটার তালিকায় ‘ভূত’ তাড়ানোর কাজ করবে। ফাঁক যাতে না থেকে যায়, তাই দু’ধাপে স্ক্রুটিনির কথা বলা হয়েছিল বৈঠকে। শাসকদলের মুখপত্রের সান্ধ্য সংস্করণে কোর কমিটি গঠনের খবরও প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু রাতেই তা স্থগিত করা হল।