Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪
Cooch Behar

পুলিশের সামনেই মহিলাকে মারধর! কোচবিহারে ধৃত তৃণমূল নেতার ভাই, জমি বিবাদে গ্রেফতার পড়শিও

মাথাভাঙা ১ নম্বর ব্লকের পূর্ব খাটের বাড়ি এলাকার ঘটনা। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে ‘নিগৃহীতা’ আসমা খাতুনকে।

প্রকাশ্যে আসা ভিডিয়ো থেকে পাওয়া ছবি।

প্রকাশ্যে আসা ভিডিয়ো থেকে পাওয়া ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৪ ২০:১৩
Share: Save:

রাস্তায় প্রকাশ্যে এক মহিলাকে মারধরের অভিযোগে কোচবিহারের মাথাভাঙায় গ্রেফতার হলেন তৃণমূল উপপ্রধানের ভাই। ঘটনার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। আনন্দবাজার অনলাইন অবশ্য সেটির সত্যতা যাচাই করেনি। ভিডিয়োটিতে দেখা গিয়েছে, তুমুল ঝগড়ার সময় এক মহিলাকে জোর ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন অভিযুক্ত যুবক।

মাথাভাঙা ১ নম্বর ব্লকের পূর্ব খাটের বাড়ি এলাকার ঘটনা। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে ‘নিগৃহীতা’ আসমা খাতুনকে। এই ঘটনার পরেই মাথাভাঙা থানায় অভিযোগ জমা পড়েছে। মাথাভাঙার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কৃষ্ণগোপাল মিনা বলেন, ‘‘মূল অভিযুক্ত এরশাদ আলিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরশাদ আলি হাজরাহাট ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান হাসিম আলির ভাই।’’

স্থানীয় সূত্রে খবর, সরকারি জমি দখলের অভিযোগে আসমার বাড়ির কিছু অংশ ভেঙে গিয়েছিল প্রশাসন। পরে বাউন্ডারি ওয়াল দিয়ে ওই সরকারি জমিই দখলের চেষ্টা করেন এক প্রতিবেশী। বৃহস্পতিবার দুপুরে তা নিয়েই দুই পরিবারের মধ্যে বচসা হয়। সেই সময়েই ওই ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, দুই পরিবারই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে শুক্রবার। এর পর তদন্তে নেমে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তৃণমূল নেতার ভাই এরশাদ আলি ছাড়াও রেজাউল মিঞা নামে পড়শিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আসমা বলেন, ‘‘যে হেতু সরকারি জমি ছিল, হাইড্রেন তৈরির কথা বলে প্রশাসন আমার বাড়ির কিছু অংশ ভেঙে দিয়েছিল। এখন দেখি, ওই জমিতেই বাউন্ডারি ওয়াল দেওয়া হচ্ছে। আমি বাধা দিয়েছিল। সেই সময় হাসিম আলির নেতৃত্বে কয়েক জন লোক আমায় ঘিরে ধরে। মহিলারা আমাকে ধরে রাখে আর ছেলেরা মারে আমাকে। চুলের মুঠি ধরে মারধর করেছে। আমার হাতে লেগেছে। আমার স্বামী ভুটানে রংমিস্ত্রির কাজ করে। আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।’’

গোটা ঘটনা নিয়ে হাসিম আলি বলেন, ‘‘আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম না। যেটা শুনেছি, মহিলার জমিটি একটি মন্দিরের জমি ছিল। প্রশাসন মহিলাকে উচ্ছেদ করে দিয়েছে। কাউকে মারধর করা হয়নি। আলোচনার মাধ্যমে আমরা সেটা মিটিয়ে দিয়েছিলাম। হতে পারে মহিলাদের মধ্যে ঝগড়া হচ্ছিল। আমার ভাই ঝগড়া থামাতে গিয়েছিল। গায়ে হাত দেওয়া হয়নি। সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy