Advertisement
৩০ অক্টোবর ২০২৪
Nanur

মমতার বার্তার পরও নানুরের বৈঠকে গরহাজির অনুব্রত ‘ঘনিষ্ঠ’ কেরিম, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের?

২৪ মার্চ কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভার্চুয়াল বৈঠকের পর রবিবার বিকালে নানুরে কোর কমিটির প্রথম বৈঠকে গরহাজির কেরিম খান অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।

Picture of Kerim Khan

নানুরের তৃণমূল নেতা তথা বীরভূম জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খান। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নানুর শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৩ ১৮:৪১
Share: Save:

অনুব্রতহীন বীরভূমের সংগঠন দেখভালের দায়িত্ব নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, প্রতি সপ্তাহে বৈঠক করবেন জেলার কোর কমিটির সদস্যরা। সে বৈঠকে দলীয় সংগঠন নিয়ে আলোচনা করতে হবে। তবে ২৪ মার্চ, শুক্রবার কালীঘাটে মমতার সেই ভার্চুয়াল বৈঠকের পর রবিবার বিকালে নানুরে কোর কমিটির প্রথম বৈঠকে গরহাজির অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত কেরিম খান। যা নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের বলে দাবি করেছেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। যদিও এ নিয়ে মন্তব্য করেননি খোদ কেরিম।

তৃণমূল সূত্রে খবর, রবিবার বিকেলে জেলার কোর কমিটির সদস্যদের নিয়ে বোলপুরের জেলা তৃণমূল পার্টি অফিসে বৈঠক হয়। তাতে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলার কোর কমিটির সদস্য তথা সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, সাংসদ শতাব্দী রায়, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়- সহ বীরভূম জেলার তৃণমূলের শীর্ষনেতারা। তবে নানুরের তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কেরিমের অনুপস্থিতি শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের কি না, তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন রয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।

যদিও দলে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই বলে বৈঠক শেষে বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের মুখপাত্র বিকাশ বলেন, ‘‘এটা দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সমাধান করা হবে।’’ যদিও দলের সহ-সভাপতি মলয় স্পষ্ট বলেছেন, ‘‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হলে কড়া ব্যবস্থা নেবে দল। তৃণমূল কর্মীদের সেই বার্তা দেওয়া হয়েছে।’’ তবে শতাব্দী বলেন, ‘‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সব দলেই থাকে। আসল বিষয় কারা জয়লাভ করছে।’’ যদিও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বৈঠকে গরহাজিরার প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করেননি কেরিম।

কেরিমের গরহাজির হওয়ার খবরে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে বলে দাবি করেছেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির বোলপুরের সভাপতি সন্ন্যাসীচরণ মণ্ডল বলেন, ‘‘কেরিম খান এবং কাজল শেখের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। সে কারণেই আজ (রবিবার) কেরিম খান বৈঠকে আসেননি। সেটা বোঝার কিছু বাকি নেই। আর তৃণমূল দলটাও এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেই শেষ হয়ে যাবে, এটাও বলার অপেক্ষা রাখে না। দলের শৃঙ্খলা যে নেই, সেটা আগেই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Nanur TMC Inner conflicts
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE