তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। —ফাইল চিত্র।
নিয়োগ কেলেঙ্কারির টাকা ফেরত চাওয়ায় এক এজেন্টকে তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা পুলিশি মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছে সিবিআই। সেই অভিযোগের প্রত্যুত্তরে শুক্রবার নিজেকে ‘নির্দোষ’ বলে দাবি করেছেন মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ। সংশোধনাগার থেকে আলিপুর কোর্টে হাজিরার পথে তিনি বলেছেন, ‘‘আমি কোনও পদে ছিলাম না। এ সব সিবিআইয়ের ভুল তথ্য।’’ প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে বড়ঞার বিধায়ক ছিলেন কংগ্রেসের প্রতিমা রজক। ২০২১ সালে তৃণমূলের জীবনকৃষ্ণ বিধায়ক হন। তবে অনেকেই বলছেন, শাসক দলের নেতা বিধায়ক না-হলে প্রভাবশালী হবেন না, এমন কোনও সরল সমীকরণ নেই।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জীবনকৃষ্ণের বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। তদন্তকারীদের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদের ফাঁকে বিধায়ক নিজের দু’টি ফোন বাড়ির পাশের পুকুরে ছুড়ে ফেলে দেন। জল ছেঁচে বহু কষ্টে সেই ফোন উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। সম্প্রতি আদালতে রিপোর্টে সিবিআই দাবি করেছে যে, জীবনকৃষ্ণের দু’টি মোবাইল থেকে নিয়োগ দুর্নীতির বহু তথ্য উদ্ধার হয়েছে। একাধিক ভয়েস রেকর্ডিং যাচাই করা হয়েছে। এমনই একটি ভয়েস রেকর্ডিং-এর উল্লেখ করে তদন্তকারীদের দাবি, চাকরি না হওয়ায় জীবনকৃষ্ণের কাছে টাকা ফেরত চেয়েছিলেন এক এজেন্ট। জীবনকৃষ্ণ ওই এজেন্টকে রীতিমতো ধমকানি দিয়েছিলেন এবং পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়েছিলেন।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এ দিন জীবনকৃষ্ণ সাহা, শান্তিপ্রসাদ সিংহ, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, কৌশিক ঘোষ, শেখ আলি ইমাম, শেখ সাহিদ ইমাম ও প্রসন্ন রায়কে আদালতে পেশ করা হয়েছিল। বিচারক সাত জনকেই ২৫ অগস্ট পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy