১৯ নেতা-মন্ত্রীর তালিকায় রয়েছে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুরও নাম।
বাংলার ১৯ নেতা-মন্ত্রীর সম্পত্তি কী ভাবে বাড়ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। সেই হিসাব যাচাই করতে এনফোর্সমেন্ট ডায়রেক্টরেট (ইডি) নিয়োগ করার দাবিও উঠেছে। সেই মামলায় সোমবার ইডিকেও জুড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। ১৯ নেতা-মন্ত্রীর তালিকায় রয়েছে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুরও নাম। আর তা নিয়ে ব্রাত্য যে চিন্তিত নন সেটা বুঝিয়ে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন সাংবাদিক বৈঠকে। তাঁর সম্পত্তির হিসাবে কোনও কিছু অস্বাভাবিক দেখা গেলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন।
সোমবার বিকাশ ভবনে এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকের পরে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন ব্রাত্য। সেখানেই আদালতের নির্দেশ সংক্রান্ত প্রশ্ন ওঠে। তার জবাবে ব্রাত্য বলেন, ‘‘আদালতের রায় নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। তবে আমি তিনবার নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে হলফনামা জমা দিয়েছি। সেটা মিলিয়ে যদি কোনও অস্বাভাবিক কিছু দেখা যায় তবে রাজনীতি করব না।’’
ওই মামলায় যাঁদের নাম রয়েছে তাঁরা সকলেই ২০১১ ও ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে লড়েছেন। সেই সময়ে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় নিজেদের সম্পত্তির হিসাব হলফনামায় জমা দেন। সেখান থেকেই দেখা যাচ্ছে কার সম্পদ কতটা বেড়েছে। প্রসঙ্গত, মামলাকারী আদালতে দাবি করেছেন, নিজেকে অধ্যাপক, অভিনেতা ও পরিচালক বলে উল্লেখ করা ব্রাত্যর ২০১১ সালের আয়কর রিটার্নে উল্লেখ অনুসারে আয় ছিল ছ’লাখ ৯৭ হাজার ৫২৩ টাকা। ২০১৬ সালে আয় কমে হয় দু’লাখ ৪৫ হাজার ৭৫০ টাকা। হিসাব করলে ৬৫ শতাংশ হ্রাস দেখা যাচ্ছে।অভিযোগে অস্থাবর সম্পত্তির যে হিসাব দাবি করা হয়েছে তাতে ২০১১ সালে ছিল ১৫ লাখ ৮৪ হাজার ২০৩ টাকা ৯১ পয়সা। আর ২০১৬ সালে সেটা হয়ে যায় ৩২ লাখ ১২ হাজার ৫৭ টাকা। বৃদ্ধি ১০৩ শতাংশ। অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রীর স্ত্রীয়ের সম্পত্তিরও একটি হিসাব দেওয়া হয়েছে। সেখানে ২০১১ সালে স্ত্রীয়ের আয় উল্লেখ করা হয়েছে, এক লাখ ৯২ হাজার ৫৯৪ টাকা আর ২০১৬ সালে ১৩ লাখ ৪৯ হাজার ২০ টাকা। বৃদ্ধি ৬০০ শতাংশ। একই ভাবে স্ত্রীয়ের অস্থাবর সম্পত্তি এই পাঁচ বছরের ব্যবধানে ৩৮২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। ২০১১ সালে ছিল ১৭ লাখ ২৫ হাজার ৫৯৭ টাকা। আর ২০১৬ সালে সেটা হয়েছে ৮৩ লাখ ১৭ হাজার ১২০ টাকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy