দিলীপ ঘোষ বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি খোয়ানোর পরেই দিলীপ ঘোষকে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। টুইটে বাবুল লেখেন, ‘‘এত বছর দল করার পরে ঝুনঝুনি পেলেন।’’ একই সঙ্গে বাবুল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ‘বাঙালি বিদ্বেষী’ বলেও আক্রমণ করেছেন।
বিজেপির সাংসদ পদ ছেড়ে এসে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল এখন তৃণমূলের বিধায়ক এবং রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী। তবে এখনও বিজেপির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নিয়মিত টুইট করেন। শনিবার সকালেই বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে কিছু রদবদল হয়েছে। সহ-সভাপতির তালিকা থাকে বাদ গিয়েছে দিলীপের নাম। বাংলার নেতা হিসাবে কেন্দ্রীয় কমিটিতে রয়েছেন শুধু তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া অনুপম হাজরা। পুরনো সর্বভারতীয় সম্পাদক পদ বজায় রয়েছে তাঁর।
At last the THE-Lip of @BJP4Bengal stands sealed
— Babul Supriyo (@SuPriyoBabul) July 29, 2023At last he gets a taste of his own medicine - get 'Jhhunjhhuni' for serving his party for so many years !! Probably now he'll understand why I threw my hard-earned MPseat on their face-it's a diff thing that the now-sealed…
এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর পরই বাবুল একটি টুইট করেন। সেখানে একই সঙ্গে দিলীপ ও অনুপমকে আক্রমণ করেছেন তিনি। দিলীপকে নিশানা করে বাবুল লিখেছেন, ‘‘বাংলা বিজেপির মুখ বন্ধ করে দেওয়া হল। এ বার উনি নিজের ওষুধের স্বাদ বুঝবেন। এত বছর দল করার পর ঝুনঝুনি পেলেন। এ বার উনি নিশ্চয়ই বুঝবেন, জেতা লোকসভা আসন কেন মুখের উপর ছুড়ে দিয়ে এসেছিলাম।” প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রদবদলে বাবুলের নাম বাদ যাওয়ার পরেই প্রথমে সাংসদ পদ ও পরে দলবদল করেন বাবুল। সেই সময়ে বাবুলকে ‘পদলোভী’ বলে আক্রমণ করেছিলেন দিলীপ। শনিবার সুযোগ পেতেই দিলীপকে পাল্টা আক্রমণ করলেন তিনি। বাবুল বিজেপিতে থাকার সময়ে বার বার রাজ্য সভাপতি দিলীপের সঙ্গে তাঁর সংঘাত প্রকাশ্যে এসেছে। শেষ দিকে যা একেবারে তিক্ততায় পরিণত হয়।
আরও পড়ুন:
কেন্দ্রীয় বিজেপিকে আক্রমণ করতে গিয়ে অনুপমকেও আক্রমণ করেছেন বাবুল। তবে নামোল্লেখ করেননি। তিনি লিখেছেন, ‘‘সর্বভারতীয় বিজেপি আসলে বাঙালিদের ঘৃণা করে। বাঙালিরা এই গদ্দার পার্টির কাছে মূল্যহীন। এখন শুধুমাত্র একটা জোকার বাংলা বিজেপির প্রতিনিধিত্ব করেন। সেটা যে কে আশা করি সবাই আন্দাজ করতে পারবেন।” বাবুলের এই টুইটের জবাবে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘উনি বিজেপির কে? দল কাকে কোথায় রাখবে সেটা নিয়ে মন্তব্য করারই বা কে উনি?’’ আর অনুপম বলেন, ‘‘তৃণমূলের সভাতে যিনি লাস্ট বেঞ্চে বসে থাকেন আর কালীঘাটে সভা হলে যিনি চেয়ার সাজান তাঁর কথার কোনও জবাবই আমি দিতে চাই না।’’