তৃণমূলের আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। ফাইল চিত্র।
সাগরদিঘির উপনির্বাচনে তৃণমূলের পরাজয়ে ‘দলেরই এক মির জাফরের’ ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করলেন তৃণমূলের আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। তিনি সমাজমাধ্যমে সেই মন্তব্য করেছেন। সেখানে তিনি সেই সঙ্গে লিখেছেন, ‘‘দলেরই কিছু বড় মন্ত্রীর অপকর্মের কারণে আমাদের লাল কার্ড দেখতে হয়েছে।’’ তাঁর দাবি, দলের কিছু বড় নেতা এখনও ‘‘যে বক্তব্য দিচ্ছেন তাতে দলের অনেক ক্ষতি হচ্ছে।’’ তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘কারও নিজস্ব মত নিয়ে কিছু বলছি না। তবে সাগরদিঘিতে বিরোধীদের একটা সুবিধাবাদী, নীতিহীন জোট হয়েছিল। এবং নির্বাচনের আগে তা বুঝতে পেরেও কেন আমরা তার মোকাবিলা করতে পারলাম না, তা দল অবশ্যই বিশ্লেষণ করবে।’’
জঙ্গিপুরের তৃণমূলের সাংগঠনিক সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, ‘‘কেন সাংসদ এ কথা লিখেছেন আমার জানা নেই। আমার নজরে সাগরদিঘিতে হারের পিছনে কোনও দলীয় মির জাফর নেই। তবে হারের পিছনে একাধিক কারণ রয়েছে। সেগুলিকে চিহ্নিত করার চেষ্টা হচ্ছে।’’ এ দিন সাগরদিঘিতে হারের ময়না তদন্ত করতে বৈঠকও হয়েছে।
দলেরই ‘এক মির জাফর’ বলতে কাকে ইঙ্গিত করছেন? অপরূপা শুক্রবার ফোনে বলেন, ‘‘সময়মতো ঠিক জানতে পেরে যাবেন। ইডি-সিবিআই থেকে বাঁচার জন্য দলের যে সব নেতা বিজেপির কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন, যাঁরা বিজেপিকে ভিতরে মদত দিচ্ছেন, তাঁদের কথাই বলেছি।’’ ক্ষতিকর ‘বক্তব্য দিচ্ছেন’ এমন নেতা কারা? সাংসদের উত্তর, “যাঁরা দল থেকে বেরিয়েছেন, যাঁদের বিরুদ্ধে দল থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তাঁরা।’’
রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘তৃণমূলের রাজনীতি হল ক্ষমতার অলিন্দে থাকার রাজনীতি। তাই তাদের মাথায় সব সময় এ সবই ঘোরে। সেই ভাবনা থেকেই উনি বলে থাকতে পারেন। তৃণমূল এই ভোটে জনরোষের কাছে হেরেছে। এ বার থেকে যেখানেই মানুষ অবাধে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট দিতে পারবেন, সেখানেই তৃণমূল হারবে। এটাই কালের দেওয়াল লিখন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy