—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে জোর করে চাঁদা তোলার অভিযোগে এক যুবককে মঙ্গলবার দুপুরে ক্যানিং রায়বাঘিনি মোড় এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ। তাঁকে থানায় এনে বসিয়ে রাখা হয়। বিরোধীদের অভিযোগ, ওই যুবককে ছাড়িয়ে নিতে থানায় হাজির হন এক স্থানীয় তৃণমূল যুব নেতা ও তাঁর অনুগামীরা। পুলিশকর্মীদের মারধর করে থানায় ভাঙচুর চালানো হয় বলেও তাঁদের দাবি। অভিযোগ মানেননি তৃণমূল নেতৃত্ব। পুলিশেরও দাবি, ওই যুব নেতার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করায় পুলিশের দুই কর্মীর বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, ক্লাবের ছেলেকে পুলিশ আটক করেছে বলে খবর পেয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের ওই পুজো কমিটির সম্পাদক তথা এলাকার এক যুব তৃণমূল নেতা যান থানায়। অভিযোগ, কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা তাঁকে অপমান করেন। প্রতিবাদ করলে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় থানা চত্বরে। পুজো কমিটির আরও সদস্য থানায় হাজির হয়ে হুজ্জুত করেন বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। পরে যুবককে ছেড়েও দেয় পুলিশ।
‘চাপের মুখে’ পুলিশ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে দাবি করেছে বিরোধী শিবির। সন্ধ্যায় সমাজমাধ্যমে এ নিয়ে পোস্ট করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাস, ক্যানিং ১ ব্লক যুব তৃণমূলের নেতৃত্বে শাসক দলের কর্মীরা থানায় হামলা চালিয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ। পুলিশকর্মীদের মারধর করে থানায় ভাঙচুরের কথাও জানিয়েছেন শুভেন্দু। তদন্ত করতে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে আবেদন করেন তিনি। থানার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংরক্ষণের দাবি তোলেন।
পরেশ পরে বলেন, ‘‘যে ঘটনার কথা বলা হচ্ছে, তা জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব। তবে শুভেন্দু যা বলেছেন, তা সর্বৈব মিথ্যা।’’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বারুইপুর পুলিশ জেলার এক কর্তা বলেন, ‘‘ওই যুব নেতার কোনও দোষ নেই। একটি ছেলেকে চাঁদা তোলার অভিযোগে পুলিশ থানায় আনলে কথা বলতে থানায় এসেছিলেন উনি। কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা ওঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। অভিযুক্ত দুই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy