প্রতীকী ছবি।
‘ভেড়ি মাফিয়া’ জাইদুল ইসলামের সঙ্গে দলের নাম জড়ানোয় অস্বস্তিতে পড়েছেন কোলাঘাট ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব। শাসকদলের মাথাদের নাম নিয়ে জাইদুলের ‘দাদাগিরি’র খবর সংবাদপত্রে প্রকাশিত হওয়ার পরে দলের তরফে খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয়েছে। আর কোন কোন নেতা-কর্মী দলের নাম ‘ভাঙিয়ে’ ভেড়ির বেআইনি কারবার করছেন, সেই খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে জাইদুলের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপও করা হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে তৃণমূলের অন্দরে। তৎপরতা শুরু হয়েছে পুলিশের তরফেও।
তৃণমূলের কোলাঘাট ব্লকের এক নেতার কথায়, ‘‘জাইদুল দলের নেতাদের নাম নিয়ে ঠিক করেননি। কারও বেআইনি কাজের দায় দল নেবে না।’’ জাইদুল নামে দলের কেউ আছেন বলেই আগে মানতে চাননি তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার তিনিও বলছেন, ‘‘আগেও বলেছি, এখনও সবাইকে নির্দেশ দিয়েছি, দলের কেউ যেন ভেড়ির কাজে নাক না গলায়। আর নিয়ম ভাঙলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। দল তাতে হস্তক্ষেপ করবে না।’’ এ দিন জাইদুলকে ফোন করা হলে তিনি আর ফোন ধরেননি।
তেমন পদ না থাকলেও কোলাঘাট ব্লকের সাগরবাড় অঞ্চলের সারদাবসান গ্রামের শেখ জাইদুল ইসলামকে লোকে তৃণমূলের দাপুটে নেতা হিসেবেই চেনে। শাসকদলের সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠতা’কে সামনে রেখেই তিনি চাষিদের ভয় দেখিয়ে ভেড়ির জন্য চাষজমি জবরদখল করেন বলে অভিযোগ। তবে সে ভাবে জাইদুলের নাম করে অভিযোগ না হওয়ায় এতদিন পুলিশি তৎপরতা দেখা যায়নি। তবে জাইদুলের ‘দাদাগিরি’র খবর সামনে আসার পরে নড়েচড়ে বসেছে পুলিশও। কোলাঘাট থানা সূত্রে খবর, এলাকায় অভিযান হতে পারে। পুলিশি টহলের ভাবনাচিন্তাও হচ্ছে।
তমলুকের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস মানছেন, ‘‘ভেড়ির জন্য জোর করে জমি নেওয়ার খবর সামনে আসার পরে আমরা ওই এলাকায় খোঁজখবর নিতে শুরু করেছি। ভেড়ির এলাকাগুলিতে কড়া নজরদারি চলবে। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy