কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
যাদবপুরের ঘটনা নিয়ে এ বার কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করল তৃণমূল। বুধবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সহ- সভাপতি সুদীপ রাহার করা এই মামলা নিয়ে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী তথা তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার এই মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা।
আদালতে কল্যাণের বক্তব্য, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসন বলে কিছু নেই। সেখানে সিসি ক্যামেরা বসানো হলেও ভেঙে দেওয়া হয়। অবাধে বাইরের ছেলেমেয়েরা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে। এর পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপালকে নিশানা করে কল্যাণ বলেন, “আচার্যের কাজ কেবল উপাচার্য নিয়োগ করা নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার দিকেও তাঁর নজর দেওয়া উচিত।”
জনস্বার্থ মামলায় মূলত তিনটি আবেদন জানানো হয়েছে। এক, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-র নিয়ম মেনে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে, সিসি ক্যামেরা বসাতে হবে। দুই, বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বত্র আলোর ব্যবস্থা করতে হবে। তিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের জন্য ডি়জিটাল পরিচয়পত্র তৈরি করতে হবে এবং বাইরে থেকে কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করলে নাম নথিভুক্ত করে ঢুকতে হবে। এই মামলার আর এক আইনজীবী হলেন অর্ক নাগ।
গত সোমবারেই যাদবপুরকাণ্ডের সূত্র ধরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে র্যাগিংয়ের বিষয়ে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। মামলা দায়েরের অনুমতি দেয় আদালত। চলতি সপ্তাহেই মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। ওই ছাত্র বুধবার রাতে মেন হস্টেলের এ২ ব্লকের তিন তলার বারান্দা থেকে নীচে পড়ে যান। বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেই পরের দিন ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত হস্টেলের ন’জন আবাসিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy