কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাঁকরাইলের ভোটগণনা কেন্দ্রে ব্যালট ছিনতাইয়ের অভিযোগ আগেই মেনে নিয়েছিল হাওড়া জেলা প্রশাসন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের থেকেও সেই একই তদন্ত-রিপোর্ট পাওয়ার পরেই তৃণমূলের দক্ষিণ সাঁকরাইল পঞ্চায়েতের বিজয়ী প্রার্থীকে পদ থেকে সরানোর নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহ। তাঁর নির্দেশ, রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন আলোচনা করে অবিলম্বে ওই আসনে যেন নির্বাচন করে।
ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে সাঁকরাইলের গণনা কেন্দ্র সিকম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের। অভিযোগ, জোর করে ওই গণনা কেন্দ্রে ঢুকে সাঁকরাইল থানার ওসির উপস্থিতিতে ব্যালট ছিনতাই করেন তৃণমূল বিধায়ক প্রিয়া পালের লোকজন। ওই নির্বাচনে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রার্থী সাইমা জমাদারকে জয়ী ঘোষণা করে তাঁর হাতে শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়েছিল।
তার আগে দক্ষিণ সাঁকরাইল গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রধান ছিলেন কাশ্মীরা খান। দল তাঁকে প্রার্থী না করায় তিনি নির্দল হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। অভিযোগ, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর থেকেই সাঁকরাইল থানার পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রুজু করে। যদিও আদালতের নির্দেশে পুলিশি পাহারায় নির্বাচনে লড়েন তিনি।
সূত্রের খবর, অনেক ভোটে কাশ্মীরার এগিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে সেখানে সাঁকরাইলের ওসিকে নিয়ে হাজির হন স্থানীয় বিধায়ক। শনিবার কাশ্মীরা বলেন, ‘‘গণনায় যখন ফল আমার পক্ষে যাচ্ছিল, তখনই তৃণমূল বিধায়কের নেতৃত্বে দুষ্কৃতীরা পুলিশের সামনেই আমার পক্ষে ভোট দেওয়া সব ব্যালট লুট করে।’’ এর পরে কাশ্মীরা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। বিচারপতি নির্বাচন কমিশনকে অভিযোগের তদন্ত করে বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে বলেন। রিপোর্টে কমিশন জানায়, হাওড়ার জেলাশাসক, মহকুমা শাসক ও স্থানীয় বিডিও তাঁদের রিপোর্টে ব্যালট ছিনতাইয়ের অভিযোগ মেনে নিয়েছেন। এর পরেই আদালত ফের নির্বাচনের নির্দেশ দেয়।
কাশ্মীরার আইনজীবী সন্দীপন পাল বলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশের প্রতিলিপি স্থানীয় বিডিওকে দেওয়া হয়েছে। হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে ওই নির্বাচনে বিজয়ীকে পঞ্চায়েতের পদ থেকে শুক্রবারই অব্যাহতি দেওয়ার কথা।’’ যদিও হাওড়া জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘আদালতের রায় আমাদের কাছে এসে পৌঁছয়নি। হাতে এলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy