নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যে বকেয়া নির্বাচন করতে উদ্যোগী মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। কিন্তু এ নিয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কোনও তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। শুক্রবার কমিশনের দফতরে এসে এমনটাই জানালেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এমনকি নাম না করে এ নিয়ে বিজেপি-কেও আক্রমণ করেন তিনি।
রাজ্যের সাতটি কেন্দ্রে দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে শুক্রবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে যায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। দলে পার্থ ছাড়াও ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা এবং জাভেদ খান। তাঁদের বক্তব্য, রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তাই এই সময় বাকি থাকা কেন্দ্রগুলিতে ভোট করানোর দিকে নজর দিক কমিশন। পার্থ বলেন, ‘‘এপ্রিলে করোনা উচ্চ শিখরে ছিল। আমরা বার বার বলা স্বত্ত্বেও দফা না কমিয়েই ভোট করেছিল কমিশন। আর এখন রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। দৈনিক সংক্রমণের হারও খুব কম। তাই কোভিড মেনে সাতটি কেন্দ্রের নির্বাচন করার দাবি জানিয়েছি আমরা।’’
উপনির্বাচন করাতে রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিক দু’এক ধাপ এগিয়েও গিয়েছেন বলে জানান পার্থ। তাঁর কথায়, ‘‘কমিশনের আধিকারিকের তরফে জানা গিয়েছে, উপনির্বাচনকে সামনে রেখে তাঁরাও প্রাথমিক প্রস্তুতি হিসেবে কয়েকটি ধাপ এগিয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন সজাগ হচ্ছে না।’’ এর আগে ১৫ জুলাই রাজ্যে নির্বাচন করার দাবিতে দিল্লিতে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল। এ বার রাজ্যের নির্বাচনী দফতরে চাপ তৈরি করে রাখছে তারা। তবে এখনই উপনির্বাচন করার কোনও পরিকল্পনা কমিশনের রয়েছে কি না তা জানেন না রাজ্যের অফিসারাও। রাজ্যের নির্বাচনী দফতরের এক অফিসার জানান, এখনও পর্যন্ত নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও নোটিস আমাদের কাছে এসে পৌঁছয়নি। তাই দ্রুত ভোট গ্রহণ হবে কি না তা নিশ্চিত করে বলা অসম্ভব। তবে কমিশন সর্বদা ভোট করার পক্ষে।
রাজ্যের দু’টি আসনে ভোট গ্রহণ এবং পাঁচটি আসনে উপনির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু করোনার কারণ দেখিয়ে এখনই নির্বাচন করতে ইচ্ছুক নয় বিজেপি। এমনও শোনা গিয়েছে। শুক্রবার নাম না করলেও পার্থের গলাতেও সেই ইঙ্গিত পাওয়া যায়। বিজেপি-কে নিশানা করে তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা গণতন্ত্র রক্ষা করার কথা বলছেন, গণতন্ত্রের অন্যতম অঙ্গ হিসেবে নির্বাচন করতেই তাঁরা এখন ঢিলেমি করছে।’’ তবে বিশেষজ্ঞদের যুক্তি, সংবিধান অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রীকে যেমন ছ’মাসের মধ্যে জিতে আসতে হবে, ঠিক তেমনই ওই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করার দায়িত্বও কমিশনের। ফলে এর থেকে দায় এড়াতে পারে না তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy