মহুয়া মৈত্র। —ফাইল চিত্র
লোকসভা ভোটের পুনরাবৃত্তি রাজ্যের উপনির্বাচনেও। তিন বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন ঘিরে তীব্র হচ্ছে তৃণমূল এবং বিজেপির সংঘাত। তৃণমূল সাংসদ প্রভাব খাটিয়ে এক পুলিশ আধিকারিককে সঙ্গে নিয়ে ভোটের প্রচার চালাচ্ছে বলে সোমবার নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেছিল বিজেপি। মঙ্গলবার পাল্টা তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর খবর ছড়ানোর অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিল জোড়াফুল শিবির।
তৃণমূলের তরফে কমিশনকে চিঠি পাঠিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সি। তাতে বলা হয়েছে, ‘থানারপাড়ার ওসি তৃণমূল সাংসদের সঙ্গে নিয়মিত বাড়ি বাড়ি প্রচারে বেরোচ্ছেন। এটা বিজেপির মিথ্যা অভিযোগ। এই অভিযোগের স্বপক্ষে একটি ছবি দেখানো হচ্ছে, যাতে ওই সাংসদ এবং ওসি-কে একই ফ্রেমে দেখা যাচ্ছে। এটা মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর। এটা গোটাটাই ফেক নিউজ যা আইটি আইনের আওতায় অপরাধ।’ চিঠিতে আরও দাবি করা হয়েছে, ‘ছবিতে ১৮ অগস্ট, ২০১৯ তারিখ দেওয়া হয়েছে, যা আদর্শ আচরণবিধি চালু হওয়ার আগে। সাংসদ নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজেই সেই ছবি আপলোড করেছিলেন।’ চিঠিতে অবশ্য ওই তৃণমূল সাংসদ বা থানারপাড়া থানার ওসির নাম করা হয়নি।
বিতর্কের সূত্রপাত কিছু দিন আগে। কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র ও করিমপুর বিধানসভার অন্তর্গত থানারপাড়া থানার ওসি সুমিত ঘোষের একটি ছবি সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। আর সেই ছবিকে হাতিয়ার করে বিজেপি। আগামী ২৫ নভেম্বর নদিয়ার করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। তার আগে বিজেপি অভিযোগ করে, মহুয়া মৈত্র আদর্শ আচরণবিধি চালু থাকাকালীন নিজস্ব প্রভাব খাটিয়ে এক পুলিশ আধিকারিককে নিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন। এ নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছেও অভিযোগ দায়ের করে তারা। ওসি সুমিত ঘোষের অপসারণও দাবি করা হয় গেরুয়া শিবিরের তরফে।
Need a special law just to tackle the fake news menace. Shameful lows that the ruling party has fallen to. pic.twitter.com/ePTvKjQ7rM
— Mahua Moitra (@MahuaMoitra) November 12, 2019
এই ছবি ঘিরেই বিতর্ক। মহুয়া মৈত্রর ফেসবুক থেকে পাওয়া ছবি।
আরও পড়ুন: জল্পনার অবসান, মহারাষ্ট্রে জারি রাষ্ট্রপতি শাসন, বিজ্ঞপ্তিতে সই করলেন রামনাথ কোবিন্দ
বিষয়টি নিয়ে করিমপুরের বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তৃণমূলের বক্তব্য শুনে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘যে ছবিটা আমরা দেখাচ্ছি, সেটাকে কি ওই সাংসদ মিথ্যা বলতে পারছেন? থানারপাড়ার ওসিকে সাদা পোশাকে তাঁর সঙ্গে যে দেখা গিয়েছে, সেই ছবিটা কি বানানো?’’ ছবির তারিখ নিয়ে প্রশ্ন তুলে নির্বাচন কমিশনে চিঠি পাঠালেও, তা যে বানানো নয়, সে কথাও স্বীকার করছে তৃণমূল। যে ছবি ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে তা আগের বলে জানিয়েছেন মহুয়া মৈত্রও। আর তৃণমূলের সেই বক্তব্যেকে হাতিয়ার করেই ফের প্রশ্ন জয়প্রকাশের, ‘‘একটা থানার ওসি সাদা পোশাকে এক জন রাজনৈতিক নেত্রীর সঙ্গে কী করছিলেন? ওই ওসি কি মহুয়া মৈত্রর দেহরক্ষী? তা তো নন। তা হলে একটা গ্রামে এক মহিলার সঙ্গে যখন তৃণমূলের নেত্রী কথা বলছেন, তখন তাঁর সঙ্গে ওসি কী করছেন?’’ তাঁর অভিযোগ, নির্বাচনের আগে, ওই ওসি-সহ স্থানীয় বেশ কয়েক জন পুলিশ কর্তাকে সঙ্গে নিয়ে সর্বত্র ঘুরছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া এবং তাঁর সঙ্গে পুলিশ রয়েছে এটা দেখিয়ে সাধারণ জনতাকে সন্ত্রস্ত করে ভোট আদায় করতে চাইছেন।
আরও পড়ুন:সময় ছিল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত, তার আগেই কী ভাবে রাষ্ট্রপতি শাসন? তোপ বিরোধীদের
কমিশনে দল চিঠি পাঠিয়েছে। পাশাপাশি বিজেপির অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলেছেন মহুয়া মৈত্রও। আনন্দবাজারকে তিনি বলেন, ‘‘বিজেপির মিথ্যা কথার ও ভুয়ো খবরের প্রচারটা পরিষ্কার দেখা গেল। এত নিম্নমানের প্রচারের বিরুদ্ধে কিছু বলতেও রুচিতে বাধে। নির্বাচন কমিশনে দল অভিযোগ করেছে। আমিও ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৭১জি ধারায় পুলিশে অভিযোগ করেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy