সায়নী ঘোষ। — ফাইল চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে ব্যস্ত ছিলেন নির্বাচনী প্রচারে। পঞ্চায়েত ভোট শেষ হওয়ার পরে ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ নিয়ে ব্যস্ত সায়নী ঘোষ। এক সপ্তাহ পরে শুক্রবার তৃণমূলের শহিদ দিবসের মহাকর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে ধর্মতলায়। তার আগের শুক্রবার সমাবেশ স্থলে খুঁটিপুজো হল। খাতায়কলমে যুব তৃণমূলই এই কর্মসূচির আহ্বায়ক। এখন সায়নী যুব তৃণমূলের সভানেত্রী। তাই তিনিও এসেছিলেন ধর্মতলার মোড়ে খুঁটিপুজোয়।
সেই কর্মসূচির পরে পঞ্চায়েতে শাসকদলের জয় নিয়ে সায়নী বললেন, ‘‘রাখে হরি তো মারে কে! আর মারে হরি তো রাখে কে! বাংলার মানুষ পঞ্চায়েতের ফলাফলে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই আছেন।’’ পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারপর্বে সায়নীকে গত ৩০ জুন নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তের সূত্রে তলব করেছিল ইডি। সেদিন তাঁকে প্রায় ১১ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তার পরে ফের তাঁকে ৫ জুলাই তলব করা হয় সিজিও কমপ্লেক্সে। কিন্তু প্রচারের ব্যস্ততার কথা বলে সায়নী সে দিন আর যাননি। আইনজীবী মারফত নথিপত্র পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।
শুক্রবার খুঁটিপুজোর পর সায়নী বলেন, ‘‘তদন্তকারী সংস্থার উপর নানারকম চাপ থাকে। তাঁরা ডাকতেই পারেন। তাঁদের এক্তিয়ার আছে তলব করার। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ারকেও বাধা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু এ সব করে কখনওই তৃণমূলকে আটকানো যায়নি, যাবেও না।’’ সায়নী আরও বলেন, ‘‘ভোটের আগে বহিরাগতদের পাঠিয়ে ভেবেছিল মানুষের মন জয় করবে। কিন্তু মানুষ পঞ্চায়েতে বুঝিয়ে দিয়েছেন।’’ ভোটের পর কেন্দ্রের যে ‘তথ্যানুসন্ধান দল’ এসেছে, তাদের প্রতিও কটাক্ষ ছুড়ে দেন এই অভিনেত্রী-নেত্রী। তিনি বলেন, ‘‘এরা মণিপুর বা উত্তরপ্রদেশে যায় না। খালি বাংলায় আসে। আমি বলব, এরা যেন এখানে একটা বাড়ি ভাড়া নিয়ে নেয়।’’
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছিল, সায়নীর নতুন ফ্ল্যাট সংক্রান্ত নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছিল তদন্তকারী সংস্থার তরফে। জেলবন্দি এবং বহিষ্কৃত যুবনেতা কুন্তল ঘোষের সঙ্গে তাঁর আর্থিক লেনদেন হয়েছিল কি না, তা-ও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আতশকাচের নীচে রয়েছে বলে খবর। সায়নী প্রথম দিন হাজিরা দেওয়ার পর কয়েক দিন প্রচারে নামেননি। তার পরে ৫ জুলাই পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে তাঁকে প্রচারে পাঠায় দল। পঞ্চায়েত ভোটের শেষবেলার প্রচারে একাধিক কর্মসূচি করেছিলেন তিনি।
একদা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সমালোচক’ হিসাবে পরিচিত অভিনেত্রী সায়নী গত বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁকে আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রে প্রার্থী করেন মমতা। কিন্তু বিজেপির অগ্নিমিত্রা পালের কাছে হারতে হয়েছিল তাঁকে। ভোটের পর সাংগঠনিক রদবদলে যুব সভানেত্রী করা হয় সায়নীকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy