ছবি: সংগৃহীত
বিজেপি রাজ্যস্তরের নেতাকে প্রার্থী করে করিমপুর বিধানসভা উপ-নির্বাচনে লড়াই দিতে নেমেছে। এই পরিস্থিতিতে মনোনয়ন জমার দিনে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করল তৃণমূল।
নদিয়া জেলার সাত বিধায়ক এবং কৃষ্ণনগরের সাংসদকে নিয়ে সোমবার সকালে তেহট্ট মহকুমাশাসকের দফতরে মনোনয়ন জমা দেন তৃণমূল প্রার্থী বিমলেন্দু সিংহ রায়। সেই সঙ্গে ছিলেন হাজার খানেক দলীয় কর্মী-সমর্থক। প্রার্থীকে বড় মিছিল করে মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার মধ্যেই স্পষ্ট, তৃণমূলের কাছে এটা কতখানি ‘মর্যাদার লড়াই’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবং জেলার নানা অংশে মাথাচাড়া দেওয়া গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ধামাচাপা দিয়ে ঐক্যের চেহারা তুলে ধরতে তারা কতটা ব্যগ্র।
যাঁর ছেড়ে যাওয়া আসনে ফের ভোট হচ্ছে, সেই কৃষ্ণনগরের সাংসদ তথা তৃণমূলের কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি মহুয়া মৈত্র ও দলের জেলা পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তো ছিলেনই। বিধায়ক তথা দলের রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শঙ্কর সিংহও এসেছিলেন। সেই সঙ্গে ছিলেন কৃষ্ণনগর দক্ষিণের বিধায়ক তথা কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস, তেহট্টের বিধায়ক গৌরীশঙ্কর দত্ত, পলাশিপাড়ার বিধায়ক তাপস সাহা, চাপড়ার বিধায়ক রুকবানুর রহমান, কালীগঞ্জের বিধায়ক হাসানুজ্জামান শেখ, নাকাশিপাড়ার বিধায়ক কল্লোল খাঁ। অর্থাৎ সাম্প্রতিক কালেও যাঁদের কাউকে-কাউকে দলের মধ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে আঙুল তুলতে দেখা গিয়েছিল, এ দিন তাঁদের সকলকেই জড়ো করা গিয়েছে।
সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকার তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা তেহট্টে এসে হাজির হয়েছিলেন। দলীয় সূত্রের খবর, সাংসদ ও প্রার্থী প্রথমে তেহট্টে এক দলীয় নেতার বাড়িতে আসেন। তার পরে সেখানে একে একে আসেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়কেরা। বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ তেহট্টের পিডব্লিউডি মোড় থেকে হুডখোলা জিপে চেপে মহকুমাশাসকের অফিসে যান বিমলেন্দু। জিপে সঙ্গে ছিলেন রাজীব-মহুয়ারাও। তার আগে-পিছনে কর্মী-সমর্থকেরা। পরে করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসার তাপস মোহান্তির কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়।
জেলা পর্যবেক্ষক রাজীবের দাবি, “করিমপুর উপ-নির্বাচনে তৃণমূলের জয় নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। জয়ের ব্যবধান বাড়ানোই আমাদের লক্ষ্য। কোন দল কাকে প্রার্থী করল, দ্বিতীয় তৃতীয় চতুর্থ স্থানের জন্য কে কী লড়াই করল, তা দেখার দরকার নেই।’’ গত বিধানসভা ভোটে মহুয়া ওই আসনে প্রায় ১৬ হাজার ভোটে জিতেছিলেন। গত লোকসভা ভোটের আগে শক্তি বাড়ায় বিজেপি, বাম প্রায় তলানিতে চলে যায়। তাতেও মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের অন্তর্গত এই বিধানসভা কেন্দ্রে ১৪ হাজারের কিছু বেশি ভোটে লিড পান তৃণমূল প্রার্থী।
বিমলেন্দু এ দিন দাবি করেন, তিনি ৪০ হাজারের কাছাকাছি ব্যবধানে জিতবেন। রাজীবের ব্যাখ্যা, ‘‘৩৬৫ দিন আমরা মানুষের পাশে থাকি। রাজ্যব্যাপী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন আর এখানে প্রাক্তন বিধায়ক মহুয়া মৈত্রের কাজ নির্বাচনে আমরা এলাকার মানুষের কাছে তুলে ধরব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy