শুরু হতে চলেছে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায়। —ফাইল চিত্র।
প্রথম পর্যায়ে ‘সফল’। এ বার ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায় শুরু করার নির্দেশ দিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। মঙ্গলবার তৃণমূল ভবনে দলের ব্লক সভাপতি এবং টাউন সভাপতিদের ডেকে পাঠিয়ে এই নির্দেশ দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়রা। তাই বিধায়ক, সাংসদ, যুব নেতাদের পরে এ বার গ্রামে গ্রামে বা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে রাত কাটানোর প্রস্তুতি নিতে শুরু করলেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতিরা।
দলের সব ব্লক সভাপতি এবং টাউন সভাপতিকে কেন ডেকে পাঠানো হল, তৃণমূল ভবনে, তা নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে জল্পনা চলছিল। পুর নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করেছিলেন। তবে, ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি কীভাবে পালিত হল, তার পর্যালোচনাও এই বৈঠকে হবে বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ওই ‘দিদিকে বলো’ সংক্রান্ত আলোচনাই এ দিনের বৈঠকে মূল গুরুত্ব পেয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে।
বৈঠক শেষে তৃণমূল ভবনের সামনে এ দিন সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানান, ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির প্রথম পর্বটা কীভাবে রূপায়িত হয়েছে, সে বিষয়ে একটি রিপোর্ট পেশ করেছেন যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই রিপোর্ট অত্যন্ত ইতিবাচক এবং দল খুশি বলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান। তবে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি এখানেই থামছে না বলে এ দিন দলকে জানিয়ে দেন পার্থ-অভিষেকরা। প্রথম পর্যায়ে যে ভাবে তৃণমূলের সাংসদ ও বিধায়করা এই কর্মসূচি রূপায়ণে মাঠে নেমেছিলেন, এ বার সে ভাবেই দলের ব্লক সভাপতি ও টাউন সভাপতিদের নামতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দলের স্থির করে দেওয়া গ্রাম এবং ওয়ার্ডে এই নেতারা যাবেন, কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন, বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলবেন, ঘণ্টা তিনেকের জনসংযোগ সভা সারবেন এবং রাতে সেই গ্রাম বা ওয়ার্ডেই কোনও কর্মীর বাড়িতে সবাই মিলে একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করবেন। রাতে সেই গ্রাম বা ওয়ার্ডের কোনও কর্মীর বাড়িতেই ওই নেতাকে থাকতে হবে। এ দিনের বৈঠকে এমন নির্দেশই দেওয়া হয়েছে। মোট ৬০০ নেতা এই পর্যায়ে ‘দিদিকে বলো’ রূপায়ণে নামছেন। ২০০০ গ্রাম এবং ওয়ার্ড বেছে নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জিয়াগঞ্জ তদন্ত: নানান সন্দেহে ঘুরপাক খেতে খেতে কী ভাবে উৎপলকে ধরতে পারল পুলিশ
‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির রূপায়ণ এবং জনসংযোগ বাড়ানোর বিষয়ে ব্লক সভাপতিদের এ দিন বিশদ পরামর্শ দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল সূত্রে খবর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস এবং সুজিত বসু এ দিনের সভায় ভাষণ দিয়েছেন। বৈঠক শেষে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ১৯ অক্টোবর থেকে ২৪ অক্টোবরের মধ্যে রাজ্যের সব ব্লকে ‘সম্প্রীতি যাত্রা’ বার করবে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়ে এবং সরকারের নানা ‘জনমুখী’ প্রকল্পের কথা তুলে ধরে এই যাত্রা বেরোবে। দু’দিন আগেই বিজেপি ঘোষণা করেছে, ১৫ থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত ‘গাঁধী সঙ্কল্প যাত্রা’ করা হবে গোটা রাজ্যে। তার পাল্টা হিসাবেই এই ‘সম্প্রীতি যাত্রা’ বার করা হচ্ছে কিনা, সে বিষয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক শিবিরে।
আরও পড়ুন: পাঁচ মিনিটে তিনজনকে কি একাই খুন করেছিল উৎপল? এখনও নিশ্চিত নয় পুলিশ
গত কয়েক বছরে রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের ভিত মজবুত হয়েছে। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে তাই এ বছর ২৯ জুলাই ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিটি চালু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আওতায় ৯১৩৭০৯১৩৭০ নম্বরে ফোন করে নিজেদের সমস্যার কথা জানাতে পারেন সাধারণ মানুষ। অথবা www.didikebolo.com –এ গিয়েও সমস্যার কথা জানানো যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy