কলকাতা পুলিশ ভাঙড় ডিভিশনের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই আবার পঞ্চায়েত ভোটের চেহারা নিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। বৃহস্পতিবার রাত পোলেরহাট থানা এলাকায় গন্ডগোলের পর শুক্রবার ভাঙড় থানার খড়গাছিতে গোলমাল হয়। তা নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই শনিবার আবার ভাঙড় উত্তপ্ত হল তৃণমূল ও আইএসএফের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে। তাতে গুলি চালানোরও অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। তৃণমূল অবশ্য সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
আগামী ২১ জানুয়ারি আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবস। আইএফএফের অভিযোগ, প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে দলীয় কর্মীরা ভাঙড়ের বিভিন্ন এলাকায় দলের পতাকা লাগাচ্ছিলেন। সেই সময় তৃণমূলের লোকেরা বাধা দেন। তা নিয়ে গোলমালের সূত্রপাত। আইএসএফ কর্মীদের দাবি, তাঁদের তৃণমূলের পার্টি অফিসে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়েছে। তাতে জখমও হয়েছেন দু’জন আইএসএফ কর্মী। তিন রাউন্ড গুলিও চালানো হয় বলে অভিযোগ তুলেছে আইএসএফ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কাশীপুর থানার পুলিশ।
ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম সব অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন, আইএসএফের লোকেরাই গুলি চালিয়েছন। তাঁর কথায়, ‘‘তৃণমূল কর্মীদের লক্ষ্য করে চার রাউন্ড গুলি চালিয়েছে আইএসএফ কর্মীরা।’’
গত বৃহস্পতিবার রাতে পোলেরহাট থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানোর ঘটনা ঘটেছিল। তার পরের দিনও তৃণমূল এবং আইএসএফের মধ্যে সংঘর্ষ ঘিরে উত্তপ্ত হয় ভাঙড়। উভয় পক্ষের হাতাহাতিতে জখম হন বেশ কয়েক জন। কয়েকটি বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগও ওঠে। অভিযোগের তির ছিল শাসকদলের দিকে। যদিও তারা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যেতে হয় ভাঙড় ডিভিশনের উপ-নগরপাল সৈকত ঘোষ-সহ পদস্থ পুলিশকর্তাদের। এর পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে উত্তেজনা থাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় টহল দেয়। তার মধ্যেই আবার গন্ডগোলে সেই ভাঙড়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy