Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
TMC

ছোট আঙারিয়া দিবসে ‘কাছাকাছি’ সভা যুযুধান তৃণমূল-বিজেপি’র

৪ জানুয়ারি দিনটি ‘ছোট আঙারিয়া দিবস’ হিসাবে পালন করে তৃণমূল। সোমবার ওই কর্মসূচি পালনের পাশাপাশি গড়বেতার বোষ্টম মোড়ে সভা তৃণমূলের।

গড়বেতায় সভার প্রস্তুতি বিজেপির। নিজস্ব চিত্র

গড়বেতায় সভার প্রস্তুতি বিজেপির। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
গড়বেতা শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২১ ১৩:২৫
Share: Save:

সোমবার ছোট আঙারিয়া দিবস নিয়ে গড়বেতায় তুঙ্গে রাজনীতির পারদ। সোমবার গড়বেতায় ‘ছোট আঙারিয়া দিবস’ পালন করছে তৃণমূল। রয়েছে সভাও। আবার প্রায় একই সময়ে সভা ডেকেছে বিজেপি-ও। সেখানে থাকছেন শুভেন্দু অধিকারী। তার জেরে দু’টি সভাস্থল আলাদা হলেও একই দিনে যুযুধান দুই শিবিরের কর্মসূচি নিয়ে সতর্ক প্রশাসন।

২০০১ সালের পর থেকে ৪ জানুয়ারি দিনটি ‘ছোট আঙারিয়া দিবস’ হিসাবে পালন করে আসছে তৃণমূল। সোমবার ওই কর্মসূচি পালনের পাশাপাশি গড়বেতার বোষ্টম মোড় এলাকায় জনসভা করবে তৃণমূল। আগে ‘শহিদবেদি’তে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পর সেখানেই সভা করার চল ছিল তৃণমূলে। কিন্তু এ বার সেই কর্মসূচিতে কিছুটা বদল হয়েছে। আবার সোমবারেই গড়বেতার বিডিও অফিস সংলগ্ন মাঠে সভা রয়েছে বিজেপি-র। প্রশাসনের একাংশের বক্তব্য, সে কথা মাথায় রেখেই সভাস্থল বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূলও। জোড়াফুল শিবিরের অবশ্য ব্যাখ্যা, ছোট আঙারিয়ায় তেমন বড় মাঠ না থাকায় কর্মী-সমর্থকদের বিপল ভিড় সামাল দিতে স্থান বদল করা হয়েছে। তৃণমূলের স্থানীয় বিধায়ক আশিস চক্রবর্তীর মতে, ‘‘ছোট আঙারিয়াতে শহিদবেদিতে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি বোষ্টম মোড় এলাকায় সভার আয়োজন করা হয়েছে। কারণ, প্রচুর সমর্থকের জমায়েত হবে।’’ ওই সভায় থাকার কথা তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি, সাংসদ মানস ভুঁইয়া, মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র-সহ অন্য নেতাদের।

সোমবার বিজেপি-র সভায় প্রধান বক্তা শুভেন্দু, যিনি তৃণমূলে থাকাকালীন একাধিক বার যোগ দিয়েছেন ছোট আঙারিয়া দিবসের কর্মসূচিতে। এ ছাড়াও থাকবেন বিজেপি সাংসদ কুনার হেমব্রম, বিজেপি-র পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সভাপতি শমিত কুমার দাশ-সহ অন্য নেতারাও। জেলার নেতাদের ধারণা, সোমবার নিজের বক্তৃতায় শুভেন্দু উল্লেখ করতে পারেন ছোট আঙারিয়ার ঘটনা। সেটা আন্দাজ করেই আগেভাগে কোমর বেঁধে নেমেছে তৃণমূল শিবির। কারণ, সিপিএম-তৃণমূলের দ্বন্দ্বের সেই ইতিহাস থেকে ভোটের মুখে বিজেপি-কে রাজনৈতিক ‘ফয়দা’ তুলতে দিতে চায় না রাজ্যের শাসক শিবির। সেই কারণে সভার স্থান বদলের ‘কৌশল’ নেওয়া হয়ে থাকতে পারে।

আরও পড়ুন: রাজ্যে ওয়েইসি, বিজেপির ‘অঙ্ক’ স্পষ্ট করলেন লকেট

আরও পড়ুন: দেশজ জ়াইকোভ-ডি টিকা পরীক্ষা বাংলাতেও

দুই শিবিরের সভাস্থলের মধ্যে দূরত্ব ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার। কিন্তু দু’দলের কর্মী-সমর্থকদের যাতায়াতের পথ খানিকটা এক। সভার সময়ও এক। সঙ্ঘাতের পরিবেশ তৈরি হতে পারে ভেবে সতর্ক রয়েছে পুলিস-প্রশাসন।

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Garhbeta BJP Chhoto Angaria Massacre
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy