বিক্ষিপ্ত ঝড়বৃষ্টিতে দক্ষিণবঙ্গে অনেকটাই জুড়িয়েছে জ্বালা। ভরা চৈত্রেও আবহাওয়া তুলনামূলক স্বস্তিদায়ক। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রবিবার পর্যন্ত দক্ষিণের সব জেলায় হতে পারে বৃষ্টি। রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণে আটটি জেলায় ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের সঙ্গে হতে পারে শিলাবৃষ্টি। ওই সব জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বাকি জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি। এই ঝড়বৃষ্টির কারণে সপ্তাহান্তে কমতে পারে দিনের তাপমাত্রা। তার পর আবার ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে পারে তাপমাত্রা।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প ছুটে আসছে। তার জেরেই বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রাজ্যে। হাওয়ার গতিমুখও তাতে সাহায্য করছে। এর প্রভাবে শনিবার ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হতে পারে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমানে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পাশাপাশি সেখানে দমকা হাওয়ার গতি হতে পারে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার। উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরেও ঝড়ের (গতিবেগ ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার) পাশাপাশি হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই জেলাগুলিতে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ওই জেলাগুলিতে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইতে পারে। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বজ্রবিদ্যুতেরও পূর্বাভাস রয়েছে। রবিবারও দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
আরও পড়ুন:
শনিবার ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে মালদহ, দক্ষিণ দিনাজপুর, আলিপুরদুয়ার, কালিম্পঙে। সেখানে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পাশাপাশি ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিতে ঝড় হতে পারে। ওই জেলাগুলিতে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের বাকি জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সেখানেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পাশাপাশি ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিতে ঝড় হতে পারে। তবে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
এই ঝড়বৃষ্টির কারণে আগামী দু’দিন দক্ষিণবঙ্গে দিনের তাপমাত্রা ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। তার পরের ২৪ ঘণ্টা তাপমাত্রার হেরফের হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এর পরে আবার ধীরে ধীরে ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে দিনের তাপমাত্রা। শনিবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদেরও সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে।