সাকেত গোখলে। ছবি: এক্স থেকে নেওয়া।
বাংলার তিন বিজেপি সাংসদ যোগাযোগ রাখছেন তৃণমূলের সঙ্গে— মঙ্গলবার এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে এমনই দাবি করলেন রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখলে। ‘চমক’ শীঘ্রই প্রকাশ্যে আসতে পারে বলেও লিখেছেন তিনি। সাকেত ‘হিসেব’ দিয়েছেন, ‘‘এখন বিজেপির সাংসদ সংখ্যা ২৪০। ‘ইন্ডিয়া’র (বিরোধী জোট) সাংসদ সংখ্যা ২৩৭। তিন জন এলে বিজেপি হয়ে যাবে ২৩৭, ‘ইন্ডিয়া’ হয়ে যাবে ২৪০।’’
তবে বিজেপির এই তিন জন সাংসদ কে কে, সে ব্যাপারে কিছু লেখেননি সাকেত। তাঁর এই দাবির প্রসঙ্গে লোকসভায় আলিপুরদুয়ার থেকে বিজেপির টিকিটে জেতা মনোজ টিগ্গা প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেছেন, ‘‘স্বপ্ন দেখার অধিকার সবার রয়েছে। স্বপ্ন যে কেউ-ই দেখতে পারেন। তবে এমন কোনও সম্ভাবনা নেই।’’
এমনিতে রাজনৈতিক নেতারা নানা সময়ে এই ধরনের দাবি করেন। সেই দাবি যে সব সময়ে বা বেশির ভাগ সময়ে মেলে, তা নয়। অনেক সময়ে কৌশলে প্রতিপক্ষের মধ্যে সন্দেহের বাতাবরণ তৈরি করতেও এই ধরনের কথা হাওয়ায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়। তবে, গত কয়েক দিন ধরেই গুঞ্জন, বিজেপির বেশ কয়েক জন সাংসদ তৃণমূলের সঙ্গে সমন্বয় রাখছেন। বিশেষত তৃণমূলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে থাকার সময়ে এ নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতেও আলোচনা ছিল।
গত কয়েক দিন ধরে যে জল্পনা হাওয়ায় ভাসছে, তাতে অক্সিজেন দিচ্ছেন বিজেপির টিকিটে জেতা কয়েক জনের বিবিধ মন্তব্য। তাঁদের কেউ কেউ এক সময়ে তৃণমূলেও ছিলেন। তাঁদের বিভিন্ন মন্তব্যে পদ্মশিবিরের অস্বস্তি বেড়েছে বরং কমেনি। সেই প্রেক্ষাপটে সাকেতের দাবি রাজনৈতিক ভাবে ‘অর্থবহ’ বলেই মনে করছেন অনেকে। ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের পর কিছুটা চমক দিয়েই বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। তার পর ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অর্জুন সিংহের তৃণমূলে ফেরাও ছিল এক প্রকার চমক। এ বার কারা চমক দেন, বা আদৌ তেমন কিছু ঘটে কি না, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলের আগ্রহ রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy