Advertisement
৩০ অক্টোবর ২০২৪
Firing incident in Bihar

বিহারে ভরা আদালতে গুলি চালানো দুষ্কৃতীরা গা-ঢাকা দিয়েছিল বঙ্গের ধর্মশালায়! গ্রেফতার করল রাজ্য পুলিশ

বৃহস্পতিবার দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশের কুলটি থানার অন্তর্গত বরাকর ফাঁড়ির পুলিশ। এর পর ধৃতদের আসানসোল আদালতে হাজির করানো হয়।

—নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০২৪ ১৯:৩৬
Share: Save:

বিহারের গয়ার শেরঘাটি আদালতে গুলিকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত তিন দুষ্কৃতী গ্রেফতার বাংলা থেকে। উদ্ধারও হল আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ। বৃহস্পতিবার দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশের কুলটি থানার অন্তর্গত বরাকর ফাঁড়ির পুলিশ। এর পর ধৃতদের আসানসোল আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক ধৃতদের চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

রাষ্ট্রীয় লোক জনশক্তি পার্টির নেতা আনোয়ার আলি খানকে খুনের অভিযোগে ফোটু খানকে গত ২৪ জুলাই বিহারের গয়া জেলার শেরঘাটি আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। আদালত থেকে ফোটু খানকে বার করে নিয়ে যাওয়ার সময় এলোপাথাড়ি গুলি চলে। দুষ্কৃতীরা গুলি চালাতে শুরু করলে বিহার পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। আদালতের ভিতরে গুলির লড়াইয়ে গুলিবিদ্ধ হন ফোটু খান ও বিহার পুলিশের এক কনস্টেবল। ওই ঘটনার পর আদালত চত্বর থেকেই এক নাবালক-সহ দু’জনকে ধরে ফেলে পুলিশ। বাকি তিন জন দুষ্কৃতী পালিয়ে যায়।

পুলিশ সূত্রে খবর, গুলিকাণ্ডের পর পলাতক দুষ্কৃতীরা পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নিয়েছিল। গত দু’দিন ধরে আসানসোলের কুলটি থানার অন্তর্গত বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে বরাকরের এক ধর্মশালায় গা ঢাকা দেয়। বরাকর ফাঁড়ির পুলিশ গোপন সুত্রে খবর পেয়ে হানা দেয় সেখানে। সেই অভিযানে ধরা পড়ে পলাতক তিন দুষ্কৃতী। ধৃতদের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও একটি কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে।।

ডিসিপি পশ্চিম সন্দীপ কাররা বলেন, ‘‘ওই তিন দুষ্কৃতীর সন্ধানে পুরস্কারের ঘোষণা করেছিল বিহার। বিহার পুলিশের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। ওরা ওই অভিযুক্তদের নিয়ে গিয়ে কী ভাবে তদন্ত করবে, সে বিষয়েও কথা চলছে। পাশাপাশি আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশও তদন্ত করবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Firing
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE