মুম্বই পুলিশের নাম করে এক চিকিৎসককে ফোন করে সাইবার প্রতারণার অভিযোগ উঠল। ‘ডিজিটাল’ গ্রেফতারির ভয় দেখিয়ে ওই চিকিৎসকের থেকে এক কোটি টাকা হাতানো হয়েছে বলে অভিযোগ। তদন্তে নেমে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের সাইবার শাখা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম সুরজকুমার সিংহ, আরমান আখতার খান এবং মহম্মদ জাহিনুদ্দিন। এদের মধ্যে জাহিনুদ্দিন খিদিরপুরের বাসিন্দা। ধৃতদের মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক ৩ মে পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে পাঠান।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের ৯ নভেম্বর সার্ভে পার্ক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন চিকিৎসক উৎপলকুমার বিট। তিনি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে অবসর নেন। উৎপলের দাবি, অবসরের পরে একটি গাড়ি কেনার জন্য খোঁজখবর করছিলেন তিনি। ওই চিকিৎসকের অভিযোগ, নভেম্বর মাসের শুরুতে হঠাৎ তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। তাঁর ব্যক্তিগত নথি ব্যবহার করে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে বলে জানান মুম্বই পুলিশের কর্তা পরিচয়ে ফোন করা এক ব্যক্তি। এমনকি, উৎপলকে ডিজিটাল গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানানো হয়। ওই চিকিৎসকের কথায়, ‘‘আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখবে বলে জানায় ওই ব্যক্তি। এর জন্য একটি অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে বলে। এ-ও বলে, পুলিশ আমার বাড়ি ঘিরে রেখেছে। ভয় পেয়ে আমি ওই অ্যাকাউন্টে দু’দফায় এক কোটি টাকা পাঠিয়ে দিই।’’
এর পরেই প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে উৎপল থানায় যান। পরে লালবাজারে সাইবার শাখায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একাধিক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়েছিল। সেই সূত্র ধরেই প্রথমে সুরজ এবং আরমানকে গ্রেফতার করা হয়। পরে গ্রেফতার করা হয় জাহিনুদ্দিনকে। আরও এক অভিযুক্তের খোঁজ চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তারই অ্যাকাউন্ট থেকে সুরজের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়েছিল।
অন্য দিকে, বালিগঞ্জে ডিজিটাল গ্রেফতারির নামে অন্য একটি প্রতারণার মামলায় অসম থেকে ভাস্কর বড়াল নামে এক ব্যক্তিকে ধরেছে বালিগঞ্জ থানার পুলিশ। এলাকার ৭১ বছরের এক বৃদ্ধ প্রতারণায় মোটা টাকা খুইয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)