মেলার মাঠে ব্যবসায়ীদের আলোচনা ও সাংবাদিক বৈঠক। নিজস্ব চিত্র
পৌষমেলা নিয়ে তৈরি হওয়া জটিলতা অবশেষে কাটল। মঙ্গলবার ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যেরা মেলা মাঠে নিজেদের মধ্যে আলোচনা সেরে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। দীর্ঘক্ষণের আলোচনা শেষে দু’পক্ষের মধ্যস্থতায় মেলা নিয়ে সমাধানসূত্র বের হয়।
পৌষমেলা নিয়ে প্রথম থেকেই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ব্যবসায়ী সমিতির সংঘাত বেধেছিল। সোমবারও ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে বিশ্বভারতীর আলোচনায় সমাধানসূত্র না মেলায় ব্যবসায়ী সমিতি এক তরফা ভাবে মেলা পরিচালনা করবে বলে ঘোষণা করে দিয়েছিল। সোমবার বিকেলে মেলামাঠে খুঁটিও পুঁততে শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিশ্বভারতী শিক্ষকমহল, কর্মী, ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে প্রবীণ আশ্রমিকেরা একবাক্যে বলেছিলেন, এই ধরনের ঘটনা আগে কোনও দিন ঘটেনি পৌষমেলা নিয়ে। এ দিন বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় জটিলতা কাটিয়ে পৌষমেলা ঠিকঠাক করার দাবিতে পোস্টারও সাঁটায় এসএফআই।
সব মিলিয়ে মেলা সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করা নিয়ে দু’তরফের উপরেই চাপ সৃষ্টি হচ্ছিল। মঙ্গলবার ফের বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ব্যবসায়ী সমিতিকে আলোচনায় বসার জন্য ডেকে পাঠান। বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকার জানান, পৌষমেলায় স্টল বসানোর মূল্যের ক্ষেত্রে ৫৫ শতাংশ এবং সিকিয়োরিটি মানি জমা রাখার ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে। এ ছাড়াও যাঁরা আগে অনলাইনে স্টল বুকিং করেছেন অতিরিক্ত টাকা দিয়ে, তাঁদের সেই অতিরিক্ত টাকা ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে। মেলায় স্টল বুকিং অনলাইনের মাধ্যমেই করা হবে। বিশ্বভারতীর এই প্রস্তাব ব্যবসায়ী সমিতি মেনে নিয়েছে। সমিতির সম্পাদক সুনীল সিংহ বলেন, ‘‘আমরাও চাই সুষ্ঠু ভাবে মেলা হোক। তার জন্য সকলের স্বার্থে বিশ্বভারতীর এই সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নিয়েছি। বিশ্বভারতী আমাদের সব রকম সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছে।’’
অনির্বাণবাবু বলেন, ‘‘এ বারের পৌষমেলা চার দিনের হবে। মেলা ভাঙার জন্য ব্যবসাদারদের ৪৮ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy