—প্রতীকী ছবি।
এ বার প্রাথমিক টেটে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতরে লাইন দিয়ে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে হাজিরা দিতে হবে না। পরীক্ষার্থী যেখানে বসে পরীক্ষা দেবেন, সেখানেই তাঁর বায়োমেট্রিক হয়ে যাবে। এমনটাই জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল।
গত বছর টেটে বায়োমেট্রিক নিয়ে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে অভিযোগ উঠেছিল। কয়েকটি পরীক্ষাকেন্দ্রে বায়োমেট্রিকের জন্য পরীক্ষার আগে লম্বা লাইন পড়ে যায়। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরেও বয়োমেট্রিক হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছিল।
দক্ষিণ কলকাতার তীর্থপতি ইনস্টিটিউশনে পরীক্ষা শুরুর আগে অনেক পরীক্ষার্থীরই বায়োমেট্রিক করানো হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। পরীক্ষা শেষের পরেও দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও হয়নি বায়োমেট্রিক। আর এই নিয়েই ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন বায়োমেট্রিক না হওয়া পরীক্ষার্থীরা। এক পরীক্ষার্থী সেখানে অসুস্থও হয়ে পড়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ওই পরীক্ষাকেন্দ্রে সবারই বায়োমেট্রিক হয় বলে দাবি করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। জেলার কয়েকটি কেন্দ্রেও এই অভিযোগ ওঠে।
গৌতমের দাবি, এ বার সে সব সমস্যা এড়াতে পরীক্ষার্থীরা যেখানে বসে পরীক্ষা দেবেন সেখানেই যাতে বায়োমেট্রিক হয়ে যায়, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। গৌতম বলেন, “এ বার পরীক্ষার্থীরা জলের বোতল নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন না। পরীক্ষা কেন্দ্রে জলের পাউচ দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে ‘ফেসিয়াল রেকগনিশন’, ‘ফ্রিস্কিং’ বা ‘মেটাল ডিটেক্টর’ দিয়ে পরীক্ষা করা, অলঙ্কার পরে না আসা, গত বার টেটে যে সব বিধিনিষেধ ছিল সেগুলোও এ বার থাকছে। পরীক্ষার্থীদের যেন কোনও অসুবিধা না হয়, সেটা যেমন দেখা হচ্ছে, সেরকমই যতটা সম্ভব স্বচ্ছতার সঙ্গে পরীক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
আগামী ১০ ডিসেম্বর রাজ্য জুড়ে টেট হওয়ার কথা। ২০২২ সালের ১১ ডিসেম্বর প্রাথমিকের যে টেট হয়েছিল, সেখানে আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল প্রায় ছ’লক্ষ ৯০ হাজার। পরীক্ষায় বসেছিলেন প্রায় ছ’লক্ষ ২০ হাজার পরীক্ষার্থী। পর্ষদ সূত্রের খবর, এ বার পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছেন গত বারের থেকে প্রায় অর্ধেক। প্রতি বছর টেট হচ্ছে। অথচ নিয়োগ নেই। তার ফলেই প্রাথমিক টেট থেকে মুখ ঘোরাচ্ছে অনেক পরীক্ষার্থী, এমনটাই দাবি দাবি শিক্ষামহলের একাংশের। যদিও পর্ষদের দাবি, এই ব্যাখ্যা ঠিক নয়। গত বার টেটে বিএড এবং ডিএলএড প্রশিক্ষিতরা বসতে পেরেছিলেন। এ বার শুধু ডিএলএড প্রশিক্ষতরাই পরীক্ষায় বসতে পারবেন। তাই এ বার আবেদনের সংখ্যা কিছুটা কমে গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy