মঙ্গলবার বিজেপি-র এক প্রতিনিধি দল নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে যাবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । ফাইল চিত্র
পুরভোটে যে ইভিএম ব্যবহার করা হবে তাতে কেন ভিভিপ্যাট নেই, সে প্রশ্ন তুলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ রকম একাধিক প্রশ্ন তাঁর রয়েছে বলে সোমবার জানিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবারই তিনি রাজ্য নির্বাচন কমিশনে যাবেন বলে জানিয়েছেন। সোমবার শুভেন্দু বলেন, ‘‘এই নির্বাচন কমিশন ইভিএম ব্যবহার করবে বলেছে, তবে ভিভিপ্যাট ছাড়া। সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর দায়ের করা এক মামলার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের রায় রয়েছে, ভিভিপ্যাট ও পেপার অডিট ট্রেল ছাড়া ইভিএম-কে সন্দেহের ঊর্ধ্বে রাখা যায় না।’’ শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘এ বার বলবে, আমাদের কাছে ভিভিপ্যাট নেই। আমি বলব, এমপি থ্রি ভিভিপ্যাট কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৭ সালে তড়িৎ গতিতে কয়েক হাজার কোটি টাকা দিয়ে যদি নির্বাচন কমিশনকে কিনতে সাহায্য করতে পারে, তাহলে এই সরকারের কাছ থেকে টাকা নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ভিভিপ্যাট কিনে ইভিএমে লাগানোর ব্যবস্থা করুক।’’
শুভেন্দু জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিজেপি-র একটি প্রতিনিধিদল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে যাবে। সেই প্রতিনিধিদলে তিনিও থাকবেন বলে দাবি করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘আমরা দাবি করব, ভিভিপ্যাট যুক্ত ইভিএমে ভোট হোক। রাজ্যের সর্বত্র একসঙ্গে হোকভোট ও গণনা।আধা সামরিক বাহিনী নামিয়ে ভোট করাতে হবে। স্বচ্ছ নির্বাচন করার জন্য যে পরিকাঠামো দরকার, তা নিয়ে কথা বলতেই আমরা কমিশনে যাব।’’
ঘটনাচক্রে সোমবারই হাওড়ায় পুরভোট স্থগিত হয়ে যাওয়া নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে প্রশ্নের মুখে ফেলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। হাওড়ায় পুরভোট সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি সোমবার বলেন, ‘‘হাওড়া বিল দ্রুত গতিতে পাশ না করানোর জন্য সেখানে ভোট হল না। এটা না হওয়ার কোনও কারণ ছিল না। এটা বুঝতে হবে যে, কোনটা প্রয়োজন। যদি একদিনে কৃষি বিলে রাষ্ট্রপতি সই করতে পারেন, তা হলে এটা হল না কেন? রাজ্যপালকে আমরা সব পাঠিয়ে দিয়েছি। উনি কি উদ্দেশ্যে আটকে রেখেছেন, তা জানি না।’’পাল্টা রাজ্যপালও জবাব দিয়েছেন স্পিকারকে। হাওড়া ভোট নিয়ে রাজ্যপালের পাশেই দাঁড়িয়েছেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর কথায়, ‘‘হাওড়ার নির্বাচন যথা সময়ে না করানোর জন্য দায়ী রাজ্য সরকার। বিভিন্ন সময়ে নিজেদের লোকেদের প্রশাসক হিসেবে দলের নেতাদের বসিয়েছেন।’’
শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘২০১৬ সালে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে বালিকে হাওড়ার সঙ্গে যুক্ত করেছিলেন। ২০২১ সালে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে তা আবার আলাদা করা হয়েছে। রাজ্যপাল জানতে চেয়েছেন কেন বালিকে বাদ দেওয়া হল? কেন বালিকে আলাদা করা হল? কত অর্থসংস্থান হয়েছিল সেখানে। সে সব তথ্য সঠিকভাবে তুলে ধরলেই সমস্যার সমাধান হবে। রাজ্য সরকারের উচিত সঠিক তথ্য রাজ্যপালের হাতে তুলে দেওয়া।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy