বিজেপি-র পরিষদীয় দলের মুখ্যসচেতক মনোজ টিগ্গার পাঁজরের হাড় ভাঙেনি বলে দাবি করলেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি মিথ্যা কথা বলছে।
সোমবার রাতে এক টুইটে তিনি লেখেন, ‘বিজেপি সব সময় মিথ্যা কথা বলে। মনোজ টিগ্গার পাঁজরের হাড় ভেঙেছে বলে সুকান্ত মজুমদার দাবি করেছেন। কিন্তু এক জন রেডিয়োলজিস্ট হিসেবে আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, কোনও হাড় ভাঙেনি। অ্যাপোলোর চিকিৎসক এস ভাটিয়া ব্যক্তিগত ভাবে তাঁর পরীক্ষা করেছেন এবং বলেছেন ভর্তির প্রয়োজন নেই। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে গুন্ডাগিরির বিষয়টি প্রকাশ্যে এল।’
রামপুরহাট-কাণ্ড নিয়ে সোমবার উত্তাল হয়ে ওঠে বিধানসভা। গোলমালে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন শাসক এবং বিরোধী দলের বিধায়করা। তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের নাক ফেটে যাওয়ায় তাঁকে ভর্তি করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। অন্য দিকে, বিজেপি-র আহত সাত বিধায়কের প্রাথমিক চিকিৎসা হয় বিধানসভাতেই। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁদের বাইপাসের ওই বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “বিরোধী দলের বিধায়কদের উপরে বর্বরোচিত আক্রমণ হয়েছে। আমাদের মুখ্যসচেতক মনোজ টিগ্গার রিবের একটি হাড়ে ফ্র্যাকচার হয়েছে। তাঁর চোট গুরুতর। অন্য বিধায়করাও আহত হয়েছেন। তাঁদের চোট ততটা গুরুতর নয়। সাময়িক ভাবে কারও রক্তচাপ বেড়ে গিয়েছিল, কারও হাত কেটে গিয়েছিল। একটা অদ্ভুত বিষাক্ত পরিবেশের মধ্যে থাকলে মানুষের যেমন প্যালপিটেশন হয়, সে রকম হয়েছিল।”
.@BJP4India always tells lie. @DrSukantaBJP demands there is rib fracture of @ManojTigga.As practising Radiologist I do confirm there is no fracture
— DR SANTANU SEN (@SantanuSenMP) March 28, 2022
DMS,Apollo,Retd Lt.Gen.Dr S.Bhatia saw him personally &said admission not needed.
Intention of hooliganism unveiled@MamataOfficial pic.twitter.com/6SxQOFVLj3
সুকান্ত অভিযোগ করেন, বিজেপি পরিষদীয় দলের মুখ্যসচেতক মনোজ টিগ্গা গুরুতর আহত হলেও তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। দলের মহিলা বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি ও শিখা চট্টোপাধ্যায়ের পায়ে চোট লাগায় তাঁরা হাঁটতে পারছেন না। তাঁদেরও হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের চাপেই সাত জন বিধায়কের চিকিৎসা না করিয়েই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে বিজেপি-র অভিযোগ। অন্য দিকে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাসপাতালের উপর চাপ তৈরি করে বিজেপি বিধায়কদের হাসপাতাল থেকে ছাড়তে বাধ্য করেছেন।