রাজভবন। —ফাইল চিত্র।
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল পদে এখনও কোনও নিয়োগ হয়নি। যার প্রভাব পড়ছে বিভিন্ন আইনি লড়াইয়ে। ১০০ দিনের মজুরি-সহ বহু মামলার শুনানি থমকেও গিয়েছে। এজি পদে শূন্যতার কথা কলকাতা হাই কোর্টের নজরেও এসেছে। এত কিছুর পরেও এজি পদে কবে নিয়োগ হবে তা নিয়ে সরকারি স্তরে কোনও নিশ্চিত উত্তর পাওয়া যায়নি। প্রশাসনের অন্দরের খবর, সংশ্লিষ্ট নিয়োগ সংক্রান্ত ফাইল অনেক দিন আগেই পাঠানো হয়েছে রাজভবনে। কিন্তু এখনও কোনও ইতিবাচক উত্তর মেলেনি।
নবান্ন সূত্রের দাবি, প্রায় দু’সপ্তাহ আগে নিয়োগের ফাইলটি রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের অনুমোদনের জন্য রাজভবনে পাঠানো হয়েছিল। তা নিয়ে কিছু বিষয়ে অতিরিক্ত তথ্য চেয়েছে রাজভবন। নবান্নের অন্দরের গুঞ্জন, ওই পদে কিশোর দত্তকে ফের নিয়োগ করতে চায় রাজ্য। তাঁর সঙ্গে রাজ্যপাল দেখা করতে চেয়েছেন বলেও খবর। প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের অনুমান, এই বিষয়গুলি নিশ্চিত হলে তবেই হয়তো ফাইলে সই করবেন রাজ্যপাল বোস।
প্রসঙ্গত, এর আগেও রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল ছিলেন কিশোর দত্ত। ২০২১ সালে বিধানসভার ভোট পরবর্তী হিংসা এবং নারদ মামলায় রাজ্যের কয়েক জন মন্ত্রী এবং নেতার গ্রেফতার পরবর্তী সময়ে তিনি এজি পদ থেকে সরে যান। সেই পদে আনা হয় আইনজীবী সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়কে।
আইনজীবীদের একাংশের পর্যবেক্ষণ, দুঁদে আইনজীবী হলেও সৌমেন্দ্রনাথের আমলেও রাজ্যকে পঞ্চায়েত নির্বাচন, নিয়োগ দুর্নীতি-সহ একাধিক মামলায় বেকায়দায় পড়তে হয়েছে। তার পিছনে অবশ্য রাজ্যের নীতি এবং পদক্ষেপই অনেকাংশে দায়ী। আইনজীবীদের দাবি, বহু ক্ষেত্রেই এজি-র জোরালো ভাবে তেমন কিছু বলার থাকত না। পরবর্তী কালে এজি পদ থেকে ইস্তফা দেন সৌমেন্দ্রনাথ। এজি পদে তাঁর অভিজ্ঞতা নিয়ে ঠারেঠোরে মুখও খোলেন সংবাদমাধ্যমে। তার পর থেকেই এজি পদ ফাঁকা রেখেই আপাতত আইনি লড়াই লড়ছে রাজ্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy