Advertisement
E-Paper

সুবোধের কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষার চিন্তা

বেলঘরিয়ায় ব্যবসায়ী অজয় মণ্ডলের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চলার পরে ব্যারাকপুরের ওই বাসিন্দা যখন থানায় গিয়ে ঘটনার কথা জানাচ্ছিলেন, তখনই সুবোধের প্রথম ফোন আসে।

সুবোধ সিংহ। —ফাইল চিত্র

সুবোধ সিংহ। —ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪ ০৯:২৭
Share
Save

বিহারের বেউর জেলে বসেই কুখ্যাত দুষ্কৃতী সুবোধ সিংহ ব্যারাকপুর ও টিটাগড়ের দুই ব্যবসায়ীকে ফোনে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। তদন্তে নেমে পুলিশ এখন খতিয়ে দেখতে চাইছে, ফোনের কণ্ঠস্বর কি সত্যিই সুবোধের? প্রয়োজনে ওই দুষ্কৃতীর কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষার সম্ভাবনাও রয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যে সিআইডির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ওই হুমকি-মামলার তদন্তভার। সুবোধ এখন সিআইডির হেফাজতে রয়েছে।

বেলঘরিয়ায় ব্যবসায়ী অজয় মণ্ডলের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চলার পরে ব্যারাকপুরের ওই বাসিন্দা যখন থানায় গিয়ে ঘটনার কথা জানাচ্ছিলেন, তখনই সুবোধের প্রথম ফোন আসে। এর পরের দিনও সুবোধ ফোন করে বলে অভিযোগ অজয়ের। পাশাপাশি টিটাগড়ের বাসিন্দা আর এক ব্যবসায়ী তাপস ভগতকে প্রথমে সুবোধের পাশের সেলে থাকা তারই শাগরেদ তাঁতিয়া ওরফে রওশন ফোন করে হুমকি দেয়। পরে ফের সুবোধ নিজে ফোন করে হুঁশিয়ারি দেয় বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার তাঁতিয়াকে ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে তোলে ব্যারাকপুর সিটি পুলিশ। মণীশ শুক্ল খুনেও অন্যতম অভিযুক্ত রওশন। এ দিন সরকারি আইনজীবী যদুনাথ ঘোষ ওই ‘ভয়েস কল’-সহ অন্য নথি খতিয়ে দেখার জন্য কোর্টে রওশনের পুলিশ হেফাজতের আর্জি জানান। কোর্ট ১৪ দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়।

রানিগঞ্জের একটি ডাকাতির মামলায় সুবোধকে এ রাজ্যে নিয়ে এসেছে সিআইডি। ওই মামলা ছাড়া সুবোধের বিরুদ্ধে একাধিক সোনার দোকান ও স্বর্ণ ঋণ প্রদানকারী সংস্থায় ডাকাতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ আছে। পুলিশ সূত্রের খবর, রানিগঞ্জ, আসানসোল, ডোমজুড় থেকে শুরু করে রানাঘাট, সিউড়ি— সব ডাকাতির ঘটনাতেই সুবোধের নাম উঠেছে অভিযুক্তদের জেরা করে। ধৃতদের দাবি, জেলে বসেই সুবোধ তাদের নির্দেশ দিয়েছিল। ফলে পরোক্ষ ভাবে প্রতিটি মামলায় নাম জড়িয়েছে সুবোধের। কিন্তু পুলিশের একাংশের দাবি, ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের দুই ব্যবসায়ীকে হুমকি-ফোনের ঘটনায় সরাসরি জড়িত ওই দুষ্কৃতী। বেউর জেল থেকে সে ফোনগুলি নিজেই করেছিল। তাই তার কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করা প্রয়োজন। যদি ফোনের কণ্ঠস্বরের সঙ্গে সুবোধের গলার স্বরের নমুনা মিলে যায় তা হলে তদন্তে জোরদার প্রমাণ উঠে আসবে।

সুবোধকে জেরা করার জন্য সিআইডির তরফে তিনটি পৃথক দল তৈরি হয়েছে। যারা পর্যায়ক্রমে তাকে জেরা করছে। সিআইডির একাংশের দাবি, জেলে বসে ফোনে দুষ্কর্মের কথা স্বীকার করলেও, স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়ি ও সোনার দোকানের ডাকাতিতে সে যুক্ত নয়, বরং তার নাম করে অন্য কেউ এ সব কাজ করেছে বলে দাবি করেছে সুবোধ। কিন্তু ধৃতদের বয়ান এবং অন্য যে সমস্ত তথ্য মিলেছে, সেই অনুযায়ী সুবোধের যোগসূত্র কতটা গভীরে, তা খতিয়ে দেখছে সিআইডি।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Subodh Singh arrest

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}