শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। —ফাইল চিত্র।
প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক। সমস্ত স্তর মিলিয়ে রাজ্যে সাকুল্যে শিক্ষক পদ ফাঁকা ৭৮১টি! মঙ্গলবার বিধানসভায় শিক্ষা সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর বক্তব্য, উচ্চ মাধ্যমিকে ১৩টি, মাধ্যমিকে ২৮টি, উচ্চ প্রাথমিকে ৪৭৩টি এবং প্রাথমিকে ২৬৭টি শূন্যপদ আছে। আদালতের নির্দেশ মতো তাঁরা সেই পদ পূরণ করবেন।
বিধানসভায় শিক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিধানসভার বাইরে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, যেখানে কয়েক হাজার চাকরিপ্রার্থী বছরের পর বছর আন্দোলন করছেন, যেখানে বহু বছর ঠিক মতো নিয়োগ হয় না বলে অভিযোগ এবং প্রায় তিন লক্ষ পদ শূন্য বলে চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের দাবি, সেখানে মোটে ৭৮১টি শূন্যপদের ব্যাখ্যা কী? ব্রাত্যের বক্তব্য, আগের হিসাব অনুযায়ী ৭৮১টি শূন্যপদ আছে। বর্তমানে চাকরিপ্রার্থীদের জন্য নতুন সৃষ্টি করা পদে নিয়োগ হবে। তিনি এ-ও দাবি করেছেন যে, শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে নানা রকম সমস্যা হচ্ছে, আদালতে মামলা হচ্ছে, সিবিআই তদন্ত হচ্ছে। কিন্তু আদতে শূন্যপদ ৭৮১টি। তাঁর বক্তব্য, মোট পদের কথা তিনি তিন লক্ষ বলেছিলেন। কিন্তু বিরোধীরাই সেটি শূন্যপদ বলে তুলে ধরছেন! প্রশ্ন উঠেছে, মন্ত্রীর দাবির সঙ্গে কোর্টে দাঁড়িয়ে তাঁর দফতরের বয়ানও তো মিলছে না!
শিক্ষামন্ত্রীর এই জবাব নিয়ে প্রত্যাশিত ভাবেই পাল্টা তোপ দেগেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। নিয়োগ আন্দোলনের অন্যতম নেতা এবং উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক পদের চাকরিপ্রার্থী সুশান্ত ঘোষ বলেন, ‘‘খোদ শিক্ষা দফতর কোর্টে জানিয়েছিল, মাধ্যমিক স্তরে প্রায় ১৩ হাজার এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার পদ শূন্য। কয়েক বছর আগেই প্রায় ৩৩০০ শূন্যপদে উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ শুরু হয়েছিল। একটি পদেও নিয়োগ না হওয়ায় সেই শূন্যপদ এত দিনে আরও বেড়ে যাওয়ার কথা। তা হলে কী ভাবে ৭৮১টি শূন্যপদের কথা বলা হল?’’ শিক্ষক সংগঠনও শিক্ষামন্ত্রীর শূন্যপদের হিসাবে বিস্মিত। শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেন, ‘‘বছরের পর বছর নিয়োগ না করে কী ভাবে শূন্যপদ পূরণ হল, তা বুঝতে পারছি না। এই ৭৮১টি শূন্যপদের হিসাব শ্বেতপত্র হিসাবে প্রকাশ করা উচিত।’’
শিক্ষকের শূন্যপদের পাশাপাশি এ দিন ব্রাত্য অবশ্য মিড-ডে মিল নিয়েও মুখ খুলেছেন। তাঁর দাবি, মিড-ডে মিল নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের যে প্রতিনিধি দল এসেছিল, তারা দরাজ শংসাপত্র দিয়েছে। কিন্তু এখন বিজেপির কোনও নেতা চেপে ধরার চেষ্টা করছেন। সিবিআই তদন্ত চাইছেন। ব্রাত্য বলেন, ‘‘সিবিআই তদন্ত করতে চাইলে করুক। আমরা স্বাগত জানাচ্ছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy