Advertisement
০৫ অক্টোবর ২০২৪
Kamduni Rape

প্রাণে মারার ‘হুমকি’ কামদুনির নির্যাতিতার পরিবারকে 

কামদুনি-কাণ্ডে চার জনকে ফাঁসি ও যাবজ্জীবনের হাত থেকে মুক্তি দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য এবং কামদুনির প্রতিবাদীরা।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৪ ০৭:৫৪
Share: Save:

দফায় দফায় প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হচ্ছে কামদুনির নির্যাতিতার ছোট ভাইকে। এমনই অভিযোগ নির্যাতিতার পরিবারের। তাদের আরও অভিযোগ, কর্মস্থলের সামনে গিয়ে ওই যুবকের উপরে নজরদারি চালাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানালেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে দাবি পরিবারের।

কামদুনি-কাণ্ডে চার জনকে ফাঁসি ও যাবজ্জীবনের হাত থেকে মুক্তি দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য এবং কামদুনির প্রতিবাদীরা। গত বছরের অক্টোবরে সুপ্রিম কোর্ট সেই ‘মুক্তি’র নির্দেশে কিছু শর্ত আরোপ করে। যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ছিল, নিজেদের গতিবিধি সম্পর্কে রাজারহাট থানাকে জানাতে হবে অভিযুক্তদের এবং তাঁরা কোনও ভাবেই নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন না।

কিন্তু নির্যাতিতার ছোট ভাইয়ের অভিযোগ, তাঁকে খুনের ছক কষেছেন বেকসুর খালাস পাওয়া অভিযুক্তেরা। ওই যুবকের কথায়, ‘‘চলতি বছরের শুরুতে এক দিন অফিস থেকে বাড়ি ফিরছিলাম। হঠাৎই কানে আসে, পিছন থেকে কেউ কাউকে বলছেন যে, আমি সামনে আছি। লাঙলপোঁতা মোড়ে লোকজন জড়ো করে ওই দিনই আমাকে খুনের পরিকল্পনা করা হচ্ছিল। দু’-তিন জন আমার কাছাকাছি এসে দাঁড়ান।’’ তিনি জানান, সে দিন তিনি আত্মীয়দের ডেকে তাঁদের সাহায্যে বাড়ি ফেরেন। ওই যুবকের অভিযোগ, তিনি এই বিষয়টি জানিয়ে রাজারহাট থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও জিডি নম্বর দেওয়া হয়নি।

নির্যাতিতার ভাই আরও জানিয়েছেন, তিনি তাঁর কর্মস্থল ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতরের সামনে লাঙলপোঁতা এলাকার কয়েক জনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখেছেন। যদিও তাঁদের কেউ তাঁর অফিসে ঢোকেননি। তিনি বলেন, ‘‘আমি আড়ালে থেকে মোবাইলে ওদের গতিবিধির ভিডিয়ো করি। এর পরে হেয়ার স্ট্রিট থানায় গিয়ে পুলিশকে সেই ভিডিয়ো দেখিয়ে ফের অভিযোগ জানাই।’’ অভিযোগে নির্যাতিতার পরিবার আরও জানিয়েছে, এ বারের লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিতে কামদুনিতে গেলে তাদের মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।

যদিও বিধাননগর কমিশনারেটের অধীন নিউ টাউনের উপ-নগরপাল মানব সিংলার দাবি, পুলিশের কাছে হুমকির কোনও অভিযোগ নেই। তিনি বলেন, ‘‘এমন হওয়ার কথা নয়। তা-ও রাজারহাট থানার সঙ্গে কথা বলব।’’

অন্য দিকে, কামদুনির ঘটনার প্রতিবাদী মুখ টুম্পা কয়ালের অভিযোগ, গত ২৩ জুন তাঁর স্বামী বিশ্বজিৎ মণ্ডলের উপরে হামলা চালায় কিছু দুষ্কৃতী। টুম্পা জানান, এর প্রতিবাদে আজ, শনিবার বিকেলে তিনি আকন্দকেশরী সেতু থেকে ঘটনাস্থল (আর্ট কলেজ) পর্যন্তু একটি পদযাত্রায় যোগ দেবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kamduni Rape victim Death Threats threat calls
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE