Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪
Fishing Hut

Petuaghat: দেড় বছরেরও ক্ষত সারেনি মৎস্য বন্দরের

২০১০ সালে বাম সরকারের আমলে ১১.৮ হেক্টর জমিতে রসুলপুর নদীর মোহনায় গড়ে উঠেছিল পেটুয়াঘাট মৎস্যবন্দর।

ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়ে রয়েছে মাছ নিলাম কেন্দ্র। পেটুয়া ঘাট মৎস্য বন্দরে।

ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়ে রয়েছে মাছ নিলাম কেন্দ্র। পেটুয়া ঘাট মৎস্য বন্দরে। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাঁথি শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২১ ০৫:৫২
Share: Save:

‘আমপানে’ ভেঙেছিল নিলাম কেন্দ্রর ছাউনি। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ফের ‘ইয়াস’-এ তছনছ হয় গোটা বন্দর। আপাতত ট্রলার ভিড়লেও পাইকারি বাজার বন্ধ হয়ে গিয়েছে পেটুয়াঘাট মৎস্য বন্দরে। খোদ মৎস্যমন্ত্রীর জেলায় মুখ থুবড়ে পড়েছে কয়েক কোটি টাকার সরকারি প্রকল্প। বেহাল পেটুয়াঘাট মৎস্য বন্দরের কারণে দিঘা মোহনায় চলে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

২০১০ সালে বাম সরকারের আমলে ১১.৮ হেক্টর জমিতে রসুলপুর নদীর মোহনায় গড়ে উঠেছিল পেটুয়াঘাট মৎস্যবন্দর। উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন। বন্দরের ভিতরে বরফ কল, হিমঘর, জালবুনন কেন্দ্র ও পেট্রল পাম্প গড়ে উঠেছিল সরকারি উদ্যোগে। এমনকী বন্দর চত্বরে ব্যাঙ্ক ও থানাও রয়েছে। এখান থেকে নথিভুক্ত চারশো ট্রলার সমুদ্রে মাছ ধরতে যায়। এ ছাড়া আরও শ’দুয়েক ট্রলার চলে বলে বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে। গত বছর আমপান-এর তাণ্ডবে বন্দরের বিশাল মাছ নিলাম কেন্দ্রের টিনের ছাউনি উড়ে গিয়েছিল। তারপর দেড় বছর কেটে গেলেও সেই ছাউনি আর সারানো হয়নি। ফলে খোলা আকাশের নীচে মাছ বেচা-কেনায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পাইকারি ও খুচরো কারবারিদের।

দীর্ঘদিন ধরে ট্রলার ও মাছ কারবারের সঙ্গে যুক্ত এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘‘রোদ-বৃষ্টিতে নাকাল হতে হয়। ব্যবসা মাথায় ওঠে। এখানে বসাই যায় না। তাই দিঘায় চলে যেতে হয়।’’ এক সময় কুড়ি-পঁচিশ জন পাইকারি ব্যবসায়ী এখানে কারবার করতেন। কয়েকশো লোকের কর্মসংস্থান হত। এখন কার্যত অবহেলায় পড়ে সবকিছু বন্ধ। ইদানীং সমুদ্র থেকে যে সব ট্রলার মাছ নিয়ে আসে, তারা পেটুয়াঘাট থেকে সড়কপথে দিঘা চলে যায়। যার দূরত্ব প্রায় ৫০ কিমি। শুধু তাই নয়, এ বছর ইয়াসের তাণ্ডবে সমুদ্রের জল ঢুকে বন্দরের বরফকল অকেজো হয়ে গিয়েছে।

তৃণমূল সমর্থিত বন্দরের শ্রমিক সংগঠনের সম্পাদক শ্যামলকুমার জানা বলেন, ‘‘দেড় বছর আগে নিলাম কেন্দ্র ভেঙে গিয়েছিল। তারপর সারানো হয়নি। তাই ব্যবসায়ীরা অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। তাঁদের তো পেট চালাতে হবে। মাঝখান থেকে আমরা কর্মহীন হয়ে পড়ছি।’’

সমস্যার কথা মানছেন বন্দর কর্তৃপক্ষও। পেটুয়াঘাট মৎস্যবন্দর স্বাভাবিক ভাবে চালু করার ব্যাপারে জেলা প্রশাসন একাধিক বার বৈঠক করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। কিন্তু তাতেও লাভ কিছুই হয়নি। তবে পেটুয়াঘাট মৎস্য বন্দরের বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক অরিন্দম সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘নিলাম কেন্দ্র ও বরফ কল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।’’ আর মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরির বক্তব্য, ‘‘বরফ কলের দুটি ইঞ্জিন সচল। পর্যাপ্ত বরফ মিলছে। তাছাড়া, যে নিলাম কেন্দ্র ঝড়ে ভেঙে গিয়েছিল, সেটিও সারানোর চেষ্টা চলছে। আপাতত অন্য জায়গায় মাছ নিলাম হচ্ছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Fishing Hut fishing
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE