কোনও স্কুলে বাড়তি শিক্ষক, কোথাও ঘাটতি। রাজ্যে সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলগুলিতে আসল ছবিটা ঠিক কী— এ বার স্কুল পরিদর্শকদের কাছে তা জানতে চাইল স্কুল শিক্ষা দফতর। ছাত্র-শিক্ষক অনুপাতের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে চায় সরকার। সরকার যে বিষয়টি নিয়ে ভাবছে, কয়েক মাস আগে সে কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই প্রক্রিয়াই শুরু করে দিল তাঁর দফতর।
স্কুলশিক্ষা দফতরের বক্তব্য, সরকারের নিয়ম অনুযায়ী ৪০ জন পড়ুয়া পিছু এক জন করে শিক্ষক থাকার কথা। এই হিসাবে একটি স্কুলে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ১২ জন শিক্ষক থাকার কথা। শহর ও শহরতলির স্কুলে এই সমস্যা না-থাকলেও গ্রামের স্কুলগুলিতে শিক্ষকের ঘাটতি রয়েছে। এক জেলা স্কুল পরিদর্শকের পর্যবেক্ষণ, শহরের বহু স্কুলে বাড়তি শিক্ষক রয়েছেন। আবার গ্রামাঞ্চলে চিত্রটা প্রায় উল্টো।
শিক্ষা দফতরের এক কর্তা জানান, এখন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বহু স্কুলের মানোন্নয়ন হচ্ছে। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলগুলিকে উচ্চমাধ্যমিক করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ জন্য বাড়তি শিক্ষকের প্রয়োজন। এর জন্যই গ্রাম-শহরের স্কুলগুলির শিক্ষকের সংখ্যা চেয়ে পাঠানো হয়েছে। এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলে শিক্ষকদের বদলির নিয়ম চালু হবে। অর্থাৎ যেখানে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি শিক্ষক রয়েছে, তাঁদের ঘাটতিতে চলা স্কুলে বদলি করা হবে।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু মামলার জটিলতায় উচ্চপ্রাথমিকে (পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি) নিয়োগ করা যাচ্ছে না। প্রয়োজন মেটাতে তাই বাড়তি শিক্ষক খোঁজার কাজ শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy