ওয়েনাড়ে মঙ্গলবারের ভূমিধসের পর চলছে উদ্ধারকাজ।
কেরলের ওয়েনাড়ের বিপর্যয়ে ক্রমশ বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই আহতদের মধ্যে এ রাজ্যের কিছু বাসিন্দার খবর মিলেছে। কিন্তু নবান্ন সূত্রের বক্তব্য, আর কত জন সেখানে রয়েছেন বা তাঁরা কী অবস্থায় আছেন, সেই তথ্য এখনও প্রশাসনের হাতে নেই। সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, এ নিয়ে জেলা প্রশাসনগুলিকে চোখ-কান খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসনিক সূত্র জানাচ্ছে, এ রাজ্য থেকে বহু মানুষ কেরলে যান কাজ করতে। বহু সংস্থাও শ্রমিক হিসেবে তাঁদের নিয়ে যায়। কিন্তু সরকারকে সেই তথ্য জানিয়ে যাওয়ার কোনও ব্যবস্থা নেই বলে কোন জেলার কোন বাসিন্দা বাইরে গিয়েছেন, তা অজানাই থাকে প্রশাসনের কাছে। বিপদে পড়লে পরিবারের লোকজন প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তখন চিহ্নিত করা যায়। এখনও পর্যন্ত কোনও জেলা থেকে কোনও পরিবার প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি বলে আধিকারিকদের দাবি। তাই জেলা প্রশাসনগুলিকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। কেউ যোগাযোগ করলে জানাতে হবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে।
প্রসঙ্গত, টানা বৃষ্টিতে সোমবার গভীর রাতে ওয়েনাড়ের মুন্ডাক্কাই, ছুরালমালা, আট্টামালা ইত্যাদি এলাকায় পাহাড় ধসে গিয়ে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটেছে। হতাহতের সংখ্যা শতাধিক। অনেককে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। স্থানীয় সূত্রের দাবি, নিখোঁজ শ্রমিকদের মধ্যে অনেকেই অসম এবং পশ্চিমবঙ্গের। একটি বাগিচা সংস্থায় এমন শতাধিক শ্রমিক কাজ করতেন।
আধিকারিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য চিকিৎসা বিমা চালুর সময়ে নাম নথিবদ্ধ করার একটি পোর্টাল তৈরি করেছিল রাজ্য। সরকার দাবি করেছিল, তাতে বেশ কয়েক লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক নিজেদের নাম নথিবদ্ধ করেছেন। কিন্তু পর্যবেক্ষকদের অনেকের প্রশ্ন, এমন বিপদের পরিস্থিতিতে পরিযায়ীদের কে কোথায় রয়েছেন বা যাচ্ছেন, তা বোঝার কি কোনও উপায় নেই! যদিও সরকারি সূত্রের দাবি, উপভোক্তারা নাম লিখিয়েছেন স্বাস্থ্যবিমা পাওয়ার ক্ষেত্রে। কিন্তু তাঁরা কোথায় কাজে যাচ্ছেন, সরকারকে তা জানানো হয় না। পরিযায়ী শ্রমিক উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সামিরুল ইসলাম বলেন, “আমরা এখনও কোনও খবর পাইনি। নজর রাখছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy