দালাল চক্র ও নানা ধরনের বেনিয়ম রুখতে ড্রাইভিং লাইসেন্স, রিনিউ, পারমিট প্রদানের নিয়মে বদল আনছে পরিবহণ দফতর। সম্প্রতি এই সংক্রান্ত বিষয়ে পরিবহণ দফতরের প্রধান সচিব বিনোদ কুমার একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্স, পুরনো লাইসেন্সের রিনিউ এবং পারমিটের সমস্ত বকেয়া আবেদন ৭ দিনের মধ্যেই যাচাই করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এই কাজে পরিবহণ দফতরের তরফে একজন শীর্ষকর্তাকে নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। পরিবহণ দফতরের কাজে স্বচ্ছতা এবং নিরপেক্ষতা আনতে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন দফতরের এক আধিকারিক। গত কয়েক মাস ধরে নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্স, লাইসেন্স রিনিউ এবং পারমিট দেওয়ার মতো কাজে চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে দীর্ঘসূত্রিতার অভিযোগ উঠেছিল। যা কানে পৌঁছেছিল পরিবহণ দফতরের শীর্ষ কর্তাদের। মানুষের এই ভোগান্তিকে সামনে রেখে বিভিন্ন মোটর ভেহিকল্স অফিসে দালালচক্র সক্রিয় থাকার অভিযোগ সামনে এসেছে। সঙ্গে বিস্তর স্বজনপোষণেরও অভিযোগ ওঠে পরিবহণ দফতরের অন্দরে।
আরও পড়ুন:
তার পরেই এ ধরনের অভিযোগের মোকাবিলা করতে আলোচনা শুরু হয় দফতরে। ঠিক হয় নীতিগত পরিবর্তন আনতে হবে। তার পরেই নতুন নির্দেশিকা জারি করেছেন পরিবহণ সচিব। দফতরের আধিকারিকদের মতে নতুন এই পদ্ধতি পুরোপুরি চালু হয়ে গেলে পরিবহণ দপ্তরের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ সাধারণ মানুষ তুলছেন, তা অনেকটাই বন্ধ করা যাবে। নতুন এই পদ্ধতিতে ‘ফার্স্ট কাম ফার্স্ট সার্ভ’ নীতি চালু হতে চলেছে পরিবহন দফতরে। সমস্ত নথিপত্রের সমাধান করা হবে অনলাইনে। অনলাইনের সঙ্গে অফলাইন দু’ধরনেরই আবেদনের ক্ষেত্রে এই নীতি কার্যকর করা হবে। নতুন এই পদ্ধতিতে ড্রাইভিং লাইসেন্স, রিনিউ, পারমিটের জন্য আর ‘বাড়তি ঝামেলায়’ পড়তে হবে না। আপাতত বকেয়া আবেদনগুলির দ্রুত নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে।