চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাস। —ফাইল চিত্র।
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসক-পড়ুয়ার খুন ও ধর্ষণের মামলায় ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাস এবং হাসপাতালের মর্গের এক কর্মীকে বুধবারও জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই। শুক্রবার থেকে অপূর্বকে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা। ময়নাতদন্ত এবং রিপোর্টের ক্ষেত্রে একাধিক পদ্ধতিগত ত্রুটিবিচ্যুতি ধরা পড়েছে বলে তদন্তকারীদের সূত্রে দাবি।
আর জি করের মর্গের ‘ক্লার্ক’ পর্যায়ের এক কর্মীকেও এ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তদন্তকারীদের বক্তব্য, ময়নাতদন্তের পরের পর্যবেক্ষণ লেখায় ওই কর্মীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। ওই দিন ময়নাতদন্ত কী ভাবে হয়েছিল, তা নিয়ে ওই কর্মীকে অপূর্বের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাতে পরস্পরবিরোধী তথ্য উঠে এসেছে এবং অপূর্বের আগের বয়ানের সঙ্গে এ দিন ওই ক্লার্কের বয়ানের পার্থক্য রয়েছে বলে তদন্তকারীদের সূত্রের দাবি। ৯ অগস্ট আর জি করের মর্গে আটটি ময়নাতদন্ত হয়েছিল। চিকিৎসক-পড়ুয়ার দেহ ছাড়া বাকি সাতটি হয়েছিল সূর্যাস্তের আগে। আটটি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সমেতই অপূর্বকে তলব করা হয়েছিল।
আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সহ-সভাপতি সুশান্ত রায়কেও এ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। ‘উত্তরবঙ্গ লবি’র ‘মগজ’ বলে পরিচিত সুশান্ত এ দিন সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাগডোগরা হয়ে বিমানে কলকাতা পৌঁছন। মঙ্গলবার রাতে সিবিআই ইমেল করে সুশান্তকে ডেকে পাঠায় বলে সূত্রের খবর।
তদন্তকারীদের সূত্রে দাবি, জলপাইগুড়ির চক্ষু চিকিৎসক সুশান্ত ৮ অগস্ট কলকাতায় এসেছিলেন। ৯ অগস্ট সকালে সন্দীপ তাঁকে ফোন করে আর জি করে ডাকেন। সকাল থেকে সন্ধ্যার পর পর্যন্ত সেখানেই ছিলেন সুশান্ত। তদন্তকারীদের সূত্রে দাবি, তথ্যপ্রমাণ লোপাট এবং ময়নাতদন্তের ত্রুটি-বিচ্যুতিতে সন্দীপের ঘনিষ্ঠ কয়েক জন চিকিৎসকের কী ভূমিকা ছিল, সেটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সুশান্তকে প্রয়োজনে ফের ডাকা হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy