ছবি: সংগৃহীত
বাগবাজার সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরে মজুত রয়েছে প্রায় ৫ লক্ষ কোভিড টিকা। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের থেকে তা সুরক্ষিত রাখতে সাতটি স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার আয়োজন করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
কোভিড টিকা সাধারণত কোল্ড-চেন ব্যবস্থায় মজুত রাখা হয়। অর্থাৎ টিকা যাতে নষ্ট না হয়ে যায়, তার জন্য একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রার প্রয়োজন। বিদ্যুৎ সরবরাহে যাতে কোনও বাধা না আসে, সে ব্যাপারে বিশেষ নজর রাখতে হয়। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের জেরে যদি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটে, সে ক্ষেত্রে সাতটি স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার আয়োজন করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। ওই সাতটি স্তরের মধ্যে চার-স্তরীয় ব্যবস্থা আগেই থেকেই ছিল বাগবাজার সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরে। এ ছাড়াও স্বাস্থ্য দফতরের তরফে দু’টি এবং পিডব্লুডি-র তরফে একটি জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হল বিদ্যুৎ সরবরাহ অটুট রাখতে। সিইএসই-র তরফেও জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে খবর।
ইয়াসের আশঙ্কায় বাগবাজার সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরের কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। স্টোরের কোল্ড-চেন ব্যবস্থা সচল রাখতে ২ জন কড়া নজরদারি চালাবে। জেনারেটর চালানোর জন্য এক জন এবং দু’জন ইলেকট্রিশিয়ান সব সময়ের জন্য বাগবাজার কেন্দ্রে থাকবেন। যদি ওই কেন্দ্র থেকে টিকা সরানোর পরিস্থিতি তৈরি হয়, তার জন্য দু’জন থাকতে বলা হয়েছে সেখানে। তাঁরাই সব ব্যবস্থা করবেন। জানা গিয়েছে, বাগবাজার কেন্দ্রের পাশে হেস্টিংস এবং বালিগঞ্জেও টিকা মজুত রাখার কেন্দ্র রয়েছে। জরুরি পরিস্থিতিতে সেখানে সরানো হতে পারে টিকা। তার জন্য বাগবাজার কেন্দ্রে ৩০০ কোল্ড বক্সও রাখা রয়েছে। স্থান সংকুলান না হলে আশেপাশের মজুত কেন্দ্রেও টিকা পাঠানো হতে পারে। সেই ব্যবস্থাও করেছে স্বাস্থ্য দফতর।
এ ছাড়া জেলায় জেলায় অক্সিজেন সরবরাহ অটুট রাখতেও উদ্যোগী হয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্যের ১২টি জেলায় পাঠানো হচ্ছে ৭০০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy