Advertisement
E-Paper

ছিলেন তিন নম্বরে, স্ক্রুটিনিতে এক নম্বর বেড়ে মাধ্যমিকে দ্বিতীয় স্থানে উঠলেন মাহির

রামানুজ জানান, এ বারের মাধ্যমিকের রিভিউ এবং স্ক্রুটিনির ফলাফল দ্রুত প্রকাশ করা গিয়েছে। কারণ, পর্ষদ আংশিক ভাবে অনলাইনে কাজ করছে। সাধারণত এই ফল অগস্টে জানা যায়। এ বছর প্রকাশ হল জুন মাসেই।

ফাইল চিত্র

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২৩ ১৯:২৭
Share
Save

স্ক্রুটিনির পর বদলে গেল মাধ্যমিকের র‌্যাঙ্ক। এক জনের নয় এক সঙ্গে ছ’জনের মেধা তালিকার স্থান গেল বদলে। এর আগে মেধাতালিকায় ছিলেন না এমন চার জন পরীক্ষার্থীর নাম চলে এল প্রথম দশের মধ্যে। আবার মেধাতালিকায় পিছনে থাকা এক ছাত্র চলে এলেন দ্বিতীয় স্থানে। শুক্রবার এক সাংবাদিক বৈঠকে এই বদলের ঘোষণা করলেন পশ্চিমবঙ্গের মধ্য শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়।

শুক্রবার রামানুজ প্রথমেই জানান, এ বারের মাধ্যমিকের রিভিউ এবং স্ক্রুটিনির ফলাফল অনেক দ্রুত প্রকাশ করা গিয়েছে। কারণ, পর্ষদ এখন আংশিক ভাবে অনলাইনে কাজ করছে। এর ফলে সাধারণত যেখানে স্ক্রুটিনি এবং রিভিউয়ের ফলাফল অগস্টে বের হয় সেখানে এ বছর এই ফল প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে জুন মাসের মধ্যেই। রামানুজ বলেন, ‘‘২৩ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। খাতা পুনর্বার খতিয়ে দেখার আবেদন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ৩ জুন। ১৮ জুন পরীক্ষকেরা সমস্ত খাতা আবার পরীক্ষা করে পর্ষদে পাঠিয়েছিলেন। পর্ষদের তরফে সেই খাতা পরীক্ষা করে ৩০ জুন ফল প্রকাশ করা হল। আশা করছি, ভবিষ্যতে এই প্রক্রিয়া আরও দ্রুত হবে।’’

সাধারণত পোস্ট পাবলিকেশন রিভিউ (পিপিআর) এবং পোস্ট পাবলিকেশন স্ক্রুটিনি (পিপিএস)— এই দুই ভাগে পরীক্ষার্থীদের খাতা দেখা হয়। রামানুজ জানিয়েছেন, মাধ্যমিকে এ বছর যে ১১৪ ৮৮০ জন অকৃতকার্য হয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে ১.৫৫ শতাংশ অর্থাৎ ১৭৮৩ জন আবেদন করেছিলেন পিপিআরের জন্য। আর যাঁরা পাশ করেছেন তাদের মধ্যে ৪.৯২ শতাংশ আবেদন করেন স্ক্রুটিনি বা পিপিএসএর জন্য। তাঁদের সংখ্যাটা ছিল ২৭৯৩১। পিপিআরের জন্য মোট ৭৫৭৪ জনের উত্তরপত্র দেখা হয়। যার মধ্যে নম্বর বদলেছে ৬১২টি খাতার। পিপিএসে ৯৩ হাজার ৪৮৯ খাতা দেখা হয়। এর মধ্যে। ৮০৩১ জনের নম্বর বদলেছে।

মেধাতালিকায় বদলেছে মোট ছ’জনের নম্বর। এঁদের মধ্যে মালদহের রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের ছাত্র মাহির হাসান মেধাতালিকায় তৃতীয় স্থানে ছিলেন। তাঁর মোট প্রাপ্ত নম্বর এক বেড়েছে। আর তার ফলে তিনি দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন। এর আগে মাধ্যমিকে দ্বিতীয় হয়েছিলেন দু’জন। বর্ধমানের শুভম পাল এবং মালদহের রিফাত হাসান সরকার। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৬৯১। অন্য দিকে, ৬৯০ পেয়ে তৃতীয় হয়েছিলেন ছ’জন। এঁদের মাহির ছিলেন। শুক্রবারের মাধ্যমিকে দ্বিতীয় স্থানাধিকারীদের সংখ্যা বেড়ে তিনজন হল। এ ছাড়া বর্ধমান মিউনিসিপাল হাই স্কুলের প্রানীল যশেরও এক নম্বর বেড়েছে। তিনি ষষ্ঠ স্থানাধিকারী ছিলেন। সেখান থেকে পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছেন তিনি। এ ছাড়া মেধাতালিকার বাইরে থাকা চারজনের নাম ঢুকেছে প্রথম দশে।

বাঁকুড়া জিলা হাই স্কুলের প্রীতম দাস ১৪তম স্থানে ছিলেন। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৬৭৯। পাঁচ নম্বর বেড়ে ৬৮৪ হয়েছে তাঁর নম্বর। নবম স্থানে উঠে এসেছেন এই পরীক্ষার্থী। রামধোলা হাই স্কুলের দীপময় বসাকেরও দু’নম্বর বেড়ে তিনি একাদশ থেকে নবম স্থানে উঠে এসেছেন। নচিন্দা জেকে গার্লস হাই স্কুলের অনুদীপা দাসের নম্বর দু’নম্বর বেড়ে হয়েছে ৬৮১। দ্বাদশ থেকে দশম স্থানে চলে এসেছেন তিনি। কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মিশন মাল্টিপারপাস স্কুলের অঙ্কন নন্দীরও দু’নম্বর বেড়ে দ্বাদশ থেকে দশম হয়েছেন।

Madhyamik Merit List West Bengal Board Of Secondary Education

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}