টোটো চালানোর জন্য স্পষ্ট নির্দেশিকা তৈরি করতে চাইছে পরিবহণ দফতর। —ফাইল চিত্র।
জেলায় জেলায় টোটোর দৌরাত্ম্য দেখে এ বার তাতে লাগাম পরাতে চাইছে পরিবহণ দফতর। শহরতলি ও গ্রামীণ এলাকায় অগণিত টোটো চলাচল করে। এমনকি, বিভিন্ন জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রেও এখন যাতয়াতের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে এই টোটোই। তাই আর কালবিলম্ব না করে এ বার টোটো চালানোর জন্য স্পষ্ট নির্দেশিকা তৈরি করতে চাইছে পরিবহণ দফতর। কারণ, গত প্রায় এক দশকে মফস্সল এলাকায় সুলভ পরিবহণমাধ্যম হিসেবে টোটোর চাহিদা বেড়েছে। আর সেই কারণেই টোটোর সংখ্যাও বাড়তে শুরু করেছে রাজ্যের প্রায় সর্বত্র।
এ বার রাজ্য টোটো পরিষেবাকে আইনি আওতায় আনতে চান পরিবহণ দফতরের শীর্ষ কর্তারা। কারণ, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে কয়েক হাজার টোটো চলাচল করলেও, তাদের কোনও রেজিস্ট্রেশন নম্বর নেই, নেই কোনও প্লেট নম্বর। টোটো চালানোর জন্য চালকদের কোনও লাইসেন্সও বাধ্যতামূলক নয়। এই সুযোগ নিয়েই মফস্সল এলাকায় বেড়ে চলেছে টোটোর দৌরাত্ম্য। টোটো বার বার জাতীয় সড়কে উঠে আসায় বেড়েছে পথ দুর্ঘটনার সংখ্যাও। সম্প্রতি নির্দেশিকা জারি করে জাতীয় ও রাজ্য সড়কে টোটো চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ বার টোটো কেনাবেচা-সহ চালানোর জন্য স্পষ্ট নির্দেশিকা তৈরি করাই লক্ষ্য পরিবহণ দফতরের।
তাই টেটো বিক্রেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে টোটো নির্মাণকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসবে পরিবহণ দফতর। সঙ্গে কোন পুরসভা ও পঞ্চায়েত এলাকায় কত সংখ্যায় টোটো চলছে, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে। টোটো নির্মাণকারী সংস্থা ও টোটোর সংখ্যা জানার পরেই পরিবহণ দফতর নির্দেশিকা তৈরি করবে। দফতরের একটি সূত্র জানাচ্ছে, রাজ্যে টোটোর সংখ্যা জানার পর তার রেজিস্ট্রেশন করানোর বন্দোবস্ত হতে পারে। এত দিন বিভিন্ন জেলায় টোটো চলাচল করলেও, তা জেলার আরটিওদের জানানো হত না। কিন্তু রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেলে, তা আরটিওদের জানাতে হবে। ফলে সহজেই তা পরিবহণ দফতরের আওতায় চলে আসবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy