Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
AITC

Municipal Poll 2022: পুরভোটে তৃণমূলের প্রার্থিতালিকা নিয়ে সমস্যা অনেকটাই মিটেছে, দাবি কুণালের

কুণালের দাবি, যে সব ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছিল, তা আলোচনার মাধ্যমেই মিটেছে। বুধবার তিনি বলেন, ‘‘কোথাও কোথাও সমস্যা তৈরি হয়েছিল ঠিকই।’’

প্রার্থিতালিকা নিয়ে তৃণমূলে সমস্যআ অনেকটাই মিটে গিয়েছে বলে দাবি করলেন কুণাল ঘোষ।

প্রার্থিতালিকা নিয়ে তৃণমূলে সমস্যআ অনেকটাই মিটে গিয়েছে বলে দাবি করলেন কুণাল ঘোষ। ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৪:১৭
Share: Save:

পুর নির্বাচনের জন্য তৃণমূলের প্রার্থিতালিকা প্রকাশিত হয়েছে গত শুক্রবার। তারপর থেকেই জোর গোলমাল বেধেছে তৃণমূলে। কিন্তু সেই সমস্যা অনেকটাই মিটে গিয়েছে বলে দাবি করলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। বুধবার তিনি বলেন, ‘‘কোথাও কোথাও সমস্যা তৈরি হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু পরিস্থিতি আয়ত্তে এসেছে। প্রার্থিতালিকা নিয়ে সমস্যা অনেকটাই মিটে গিয়েছে। এখন আর প্রার্থী নিয়ে কোথাও কোনও সমস্যা নেই।’’কুণালের দাবি, যে সব ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছিল, তা আলাপ আলোচনার মাধ্যমেই মিটে গিয়েছে। নেতৃত্বের হস্তক্ষেপেই দলের সকলেপুরভোট লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।’’

গত শুক্রবার ভবানীপুরের দলীয় অফিসে পুরভোটের প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করেতৃণমূল। ওই তালিকা সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের দেখানো হলেও, তা হাতে দেওয়া হয়নি। ওই দিন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সাংবাদিক সম্মেলন শেষ হওয়ার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ১০৭টি পুরসভার প্রার্থিতালিকা দলের ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হয়। এরপরেই ঘটে বিভ্রাট। তড়িঘড়ি সংবাদমাধ্যমে পার্থ জানিয়ে দেন, দলের ফেসবুক পেজে প্রকাশিত তালিকা সঠিক নয়। কারণ ওই তালিকায় কোনও স্বাক্ষর নেই। এর পরেই প্রকাশিত হয় স্বাক্ষর-সহ তালিকা। সেই তালিকার প্রতিটি পাতায় দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী এবং মহাসচিব পার্থের স্বাক্ষর। সঙ্গে দলীয় রাবারস্ট্যাম্প। দ্বিতীয় ওই তালিকা প্রকাশ করা হয় জেলা স্তর থেকে। এরপর প্রথম ও দ্বিতীয় তালিকায় থাকা প্রার্থীদের নাম নিয়ে শুরু হয় বিবাদ। সেই সমস্যাই মিটে গিয়েছে বলে দাবি করেছেনকুণাল। তিনি বলেন, ‘‘দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকতেই পারে। তা বলে অন্য কিছু ভাবা উচিত নয়। গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতা রয়েছে তৃণমূলে। সেই গণতান্ত্রিক পরিবেশ থেকেই প্রার্থী তালিকা নিয়ে সমস্যার সমাধান হয়েছে। মনে রাখতে হবে, দলের শেষ কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সেনাপতি অভিষেক।’’

রাজ্যের যে ১০৮টি পুরসভায় নির্বাচন হবে, তার মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি রয়েছে। ওই পুরসভায় দীর্ঘ দিন ধরেই শিশির অধিকারীর পরিবারের আধিপত্য রয়েছে। অধিকারী পরিবারের একাধিক ব্যক্তি হয়েছেন পুরসভার চেয়ারম্যান। তবে শিশিরের মেজপুত্র শুভেন্দু এখন বিজেপি-তে। তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।শিশিরের ছোট ছেলে সৌম্যেন্দুও বিজেপি-তে। কিন্তু পরিবারের কেউই এই পুর নির্বাচনে বিজেপি-র টিকিট পাননি। তা নিয়েও কটাক্ষ করেছেন কুণাল। তিনি বলেন, ‘‘অধিকারী পরিবারের কোনও সদস্যকেই বিজেপি মনোনয়ন দেয়নি। এমনকি, ওই পরিবারের সদস্য,প্রাক্তন চেয়ারম্যানকেও মনোনয়ন দেয়নি। আদি বিজেপি-রা অধিকারীদের মেনে নেয়নি।’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘শুভেন্দু বিজেপি-তে থাকতে পারছেন না। তাঁর দমবন্ধ হয়ে আসছে। তাই তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন বলেই আমরা খবর পেয়েছি। কারণ তাঁদের পরিবার বিজেপি-তে সম্মান পাচ্ছে না।’’ এ ব্যাপারে শুভেন্দুর সঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনের তরফেএকাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। জবাব দেননি হোয়াটস্‌অ্যাপেরও।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy